ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ , আজকের সময় : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাগমারার সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুকুর লীজের টাকা আত্নসাতের  অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদ এর বিরুদ্ধে পুকুর লীজের টাকা আত্নসাতের দায়ে রাজশাহীর বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট বোয়ালিয়া থানা আমলি আদালতে লিখিত অভিযোগ করেছে মাবুদ সরকার অনিক নামের এক ভুক্তভোগী।
গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের বরাতে জানাযায়, গত ২০২১ সালের ২২  ফেব্রুয়ারিতে বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া মৌজার ২২৮ নং খতিয়ানের ৬.০৫ একর সহ মোট ৫৫ বিঘা জমি লীজ গ্রহন করে মুগাইপাড়া গ্রামের লায়েব মাষ্টারের ছেলে মারুফ হাসান, মুগাইপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম ও পবা উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামের গোলাম মোর্তজার ছেলে মাবুদ সরকার অনিক। উক্ত লীজে অভিযোগকারি মাবুদ সরকার অনিকের নামে ১২% শেয়ারের কথা উল্লেখ থাকে। পরে অনিকের পারিবারিক সমস্যার কারনে নিজ নামীয় ১২% শেয়ার গত ১২ নভেম্বর ২০২১ তারিখে অভিযুক্ত সরদার জান মোহাম্মার এর নিকট সাবলীজ বা অংশ বিক্রয় করে ১৫ লক্ষ টাকায়। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদ, বাদীর পুর্ব পরিচিত হওয়ায় ১০ দিনের  কথা বলে বাঁকিতে ৩০০ টাকা নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও সরদার জান মোহাম্মাদ অনিকের পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অযুহাতে কাল ক্ষেপন করেন। পরে বাদী বাধ্য হয়ে গত ১৪/২/২০২২ তারিখে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জান মোহাম্মাদকে অবগত করেন। এতে সরদার জান মোহাম্মাদ কোন সুনির্দিষ্ট জবাব দেয়নি। এরপর আবারও গত ২০/৭/২০২২ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়। তারপরও সরদার জান মোহাম্মাদ কোন জবাব দেয়নি। অবশেষে গত ১৭/১০/২২ তারিখে মহানগরীর অলোকার মোড়ে অভিযুক্ত জান মোহাম্মাদ এর নিকট টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরে বাধ্য হয়ে ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে আদালতে হাজির হয়ে সরদার জান মোহাম্মাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাৎ এর লিখিত অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে অভিযোগকারি মাবুদ সরকার অনিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদ আমার পুর্ব পরিচিত অর্থাৎ মামা হওয়ার সুবাদে উপরোল্লিখিত পুকুরের ১২% অংশ ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করি এবং ১০ দিনের জন্য কথা বলে বাঁকিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে দিই। কিন্তু মাসের পর মাস পার হলেও তিনি আমাকে টাকা দিচ্ছেনা। এমতাবস্তায় আমি বাধ্য হয়ে আইনের শরনাপন্ন হয়েছি। আমার অভিযোগটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দ্বায়িত্ব দিয়েছে। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আমি আমার নায্য পাওনা পাবো বলে আশা করছি। পরে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সরদার জান মোহাম্মাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।