রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ৮ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে নৌকার মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাজেদুর রহমান মিঠু।
আজ বুধবার (১৬নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভোট কেন্দ্রে ভোটাদের প্রবেশে বাঁধার মধ্য দিয়ে এই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই পৌরসভার ১১ টি কেন্দ্রে ৫৭ টি বুথে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেন ভোররা।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নৌকার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) জার্জিস হোসেন সোহেল “জগ” প্রতীকে পেয়েছেন ৩হাজার ৬৯৪, “মোবাইল” প্রতীক নিয়ে মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ২৬২ এবং তালগাছ প্রতিক নিয়ে জিয়াউল হক রতন পেয়েছেন ১০৯ ভোট। তবে জিয়াউল হক রতন এ নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এই ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৪টা। ভোট শুরু এক ঘণ্টার মধ্যে দুর্গাপুর সিংগা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির নেতা চয়েন উদ্দিন -মুন্টু ও কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে বাঁধা দেয় নৌকার সমর্থকরা। দ
এদিকে উপজেলা দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে,কাঁচুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয় কেন্দ্রসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থিত ভোটাদের কেন্দ্রে পবেশে বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জার্জিস হোসেন সোহেল অভিযোগ করেন, সব কেন্দ্রেয় তার কর্মী ও ভোটাদের বাঁধা দেয়া হয়েছে। ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। অনেক কর্মীদের মারপিটও করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থী সাজেদুর রহমান মিঠু বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শন্তিপুর্ন হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোটারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রয়োগ করেছেন। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭%।
দুর্গাপুর পৌরসভার মোট ভোটার ২১ হাজার ৮০৬ জন, এদের মধ্যে ১০হাজার ৮১২জন পুরুষ ও ১০হাজার ৯৯৪ জন নারী ভোটার। দুর্গাপুর থানার অফিসার ওসি নাজমুল হক বলেন, দুই একটি রিরবিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবকটি কেন্দ্রেয় সুষ্ঠু ও শন্তিপুর্ন ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
Print [1]