ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রাজশাহীতে ওসি, এএসপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসআই এর চাঁদাবাজি 

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাগমারা থানার, বিকাশ প্রতারণার মামলাকে পুঁজি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরানের ধারাবাহিক চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী আরাফাত সাইদ। আরাফাত বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বর্তমানে আমার পরীক্ষা চলছে। গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ সালে বাগমারা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং ১০/২২। পরবর্তীতে সেই মামলায় তদন্তপুর্বক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে থানা পুলিশ। যাদের অনেকের বাড়ি আমার এলাকায়। আসামীর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে এবং সমবয়সী হওয়াতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আল-ইমরান সেই আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই জায়গায় আমাকে আসামি করবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয় ভিতি প্রদর্শন করছেন। এছাড়াও পর পর ২ দিন মাঝরাতে আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এসআই আল ইমরান ইতোমধ্যে আমার এক পরিচিতের মাধ্যমে বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে আমার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গ্রেফতার করবেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও গ্রেফতার কৃত আসামীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে আমাকে যে কোন সময় আটক করতে পারবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার নামে দেশের কোথাও কোন মামলাও নাই।  তারপরও বাগমারা থানার এসআই আল-ইমরান আমার পরিবারের কাছ থেকে বার বার ফোন দিয়ে এডিশনাল এসপি এবং বাগমারা থানার ওসি সহ ৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছেন। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর রাত ১০ টা দিকে এসআই আল ইমরানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭৫২৪০৪৬১২) থেকে আমার শশুর আসাদুল ইসলামের (০১৮১৬৭০০১৮৩) নাম্বারে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা ফোনে বিকাশের মাধ্যমে চান। টাকা না দিলে উক্ত মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে এবং পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছেন। আমার পরীক্ষা বাতিলসহ নানা ভয়ভীতির কারণে পরিবারের লোকজন খুব চিন্তিত। এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমার পরিবারের নিরাপত্তা, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা প্রদান ও দোষি এসআই এর সুবিচার প্রার্থনাসহ শাস্তি কামনা করছি।
উল্লেখ, উক্ত মামলার বাদী বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া (কুদাপাড়া) গ্রামের মকছেদ আলীর স্ত্রী মোঃ বেদেনা বিবি (৩০)। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মামলা সকল আসামীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আল ইমরান। বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ইমরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, তাহলে আর কিছু বলার নাই। আমি শহরে গেলে আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো। পরে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখ্যপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান বিষয়টি জানার পর আমরা সাথে সাথে সাময়িক বরখাস্ত করেছি এবং বাগমারা থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনস এ ক্লোজ করা হয়েছে।