ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

দশমিনায় গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের ০৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোঃ শামিরুল এর বিরুদ্ধে ভিজিডির ২২ মাসেন চাল আতœসাৎ এর অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগি মোসাঃ মনিরা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোঃ শামিরুল উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের ০৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ। তিনি ২০২০ সনে ভিজিডি নামের তালিকায় মোসাঃ মনিরা বেগমের জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে মনিরা বেগম স্বামীঃ শামিরুল লিখে ভিজিডি নামের তালিকায় অন্তভুক্ত করে দীর্ঘ ২২ মাস চাল উত্তোলন করে ভোগ করে আসছে। যাহার অনলাইন ক্রমিক নং-১৯৮ এবংচাল বিতরন তালিকায় ক্রমিক নং-৯৯। মোঃ শামিরুল একই বছর মোসাঃ আমেনা বেগম স্বামীঃ শামিরুল নামে ভিজিডির চাল ভোগ করে আসছে যাহার অনলাইন ক্রমিক নং-২২৩ এবং চাল বিতরন তালিকায় ক্রমিক নং-১১৪। মোঃ শামিরুল(গ্রাম পুলিশ) মনিরা বেগমকে ভূয়া স্ত্রী বানিয়ে মনিরা বেগমের আইডি কার্ড ব্যবহার করে ভিজিডি নামের তালিকায় নাম অন্তভুক্ত করে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে শামিরুল (গ্রাম পুলিশ) স্ত্রীঃ আমেনা বেগম।

মনিরা বেগম বলেন, আমি এবং আমার স্বামী মোঃ বাচ্চু গাজী ঢাকায় থাকি আমার স্বামী যোগালি কাজ করেন আর আমি জিয়ের কাজ করি। গত কোরবানির সময় আমি পরিবারের সকলকে নিয়ে বাড়ি চলে আসি। কয়েক দিন আগে ভিজিডি চালের অনলাইনে আবেদন করার কথা আলীপুর বাজারে মাইকিং করলে আমি আমার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইন করতে গেলে বলা হয় আমার আইডি দিয়ে ভিজিডি চাল ভোগ করা হচ্ছে এ আইডি দিয়ে দ্ধিতীয় বার ভিজিডির জন্র আবেদন করা যাবেনা। তখোন আমি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সাগরকে বললে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। পরে আমি অনেক খোজ করার পর জানতে পারি আমার ওয়ার্ডে মোঃ শামিরুল (গ্রাম পুলিশ) আমার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ২২ মাস পর্যন্ত ভিজিডি চাল ভোগ করে আসছে। আমি এবং আমার স্বামী জানতে চাইলে আমাদের খুনকরার হুমকি দেয়। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। শামিরুল (গ্রাম পুলিশ) আমার আইডি কার্ডে আমার স্বামীর নাম পরিবর্তন করে তার নাম ব্যবহার করে এবং তার স্ত্রী আমেনা বেগমের আইডি কার্ডদিয়ে ভিজিডি ২ নামের চাল ভোগ করে আসছে ২২ মাস।

মনিরার স্বামী বাচ্চু গাজী বলেন, আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের ভোটার । আমি এবং আমার স্ত্রী অতি কষ্ট করে ঢাকায় পেটের তাগিদে কাজ করে থাকি । বাড়ি চলে আসি এখোন দিন আনি দিন খাই কখনো না খেয়ে থাকি । কি ভাবে শামিরুল(গ্রাম পুলিশ) পারে আমার স্ত্রীর আইডি কার্ড নিয়ে আমার নামের স্থলে তার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ ২২ মাস চাল ভোগ করে। আমি এই কথা জানতে চাইলে আমাকে মারধর করবে বলে গালমন্দ করে তারিয়ে দেয়। আমি এই শামিরুলের(গ্রাম পুলিশ) বিচার চাই।
আলীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি । আমার জরুরী কাজ থাকায় বসতে পারিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।