দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর তেকালা গ্রামে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে কাঁচা টমেটো পাকানোর দায়ে এক কৃষককে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গল বার (৬ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারায় ওই কৃষকের নিকট থেকে ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রামে কাঁচা টমেটোতে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হচ্ছে দ্রুত পাকানোর জন্য। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনা করে তেকালা গ্রামের বিল্লাল হোসেন নামের এক কৃষককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবং জব্দকৃত প্রায় একশ মন টমেটো ধ্বংশ করা হয়। তবে জনসার্থে এ ধরনের ভ্রাম্যমান আদালত অব্যহত থাকবে।
বিল্লাল হোসেন তেকালা পশ্চিম পাড়ার কামরুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টমেটো পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে। মশার ওষুধের মতোই রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে সবুজ টমেটোর গায়ে। পাকানো হয় গার্ডেন, রাইডার বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে তবে রঙিন এ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে টমেটোকে রঙিন করে তুলতে। তিন দিনের মতো সময় লাগে এ টমেটো পাকাতে। টমেটো লাল হয়ে যায়। এরপর সারা দেশের বাজারগুলোতেই পাওয়া যায় এ টমেটো। অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় রাসায়নিক পদার্থ টমেটোতে মেশানো হচ্ছে পাকানোর জন্যে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন বাজারে সবচেয়ে বেশি টমেটো যায়। স্বাভাবিকভাবে টমেটো পাকতে অনেক সময় লাগে। দিনে দুপুরে প্রকাশ্যেই চলছে এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় টমেটো পাকানো।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার সামসুল আরেফিন সুলভ জানান, শীতকালীন এই সব্জি যেমন ফলের মতো খাওয়া যায়, তেমনি সব্জি হিসেবেও বিপুল জনপ্রিয়। এটি খেতে যেমন ভাল তেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও আয়রন থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় এবং এতে আপেলের সমপরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়। তবে মানবদেহের অনুপযোগী এসব রাসায়নিক পদার্থ টমেটোতে মেশানো হচ্ছে পাকানোর জন্যে। যেসব রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষের হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার সমস্যা হতে পারে।