ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাত পোহালেই বাঘা পৌরসভার ভোট : কে হবে পৌর মেয়র?

 রাজশাহী ব্যুরোঃ ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। তবে প্রতীক বরাদ্দের শেষ সময় পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন সাবেক কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান পিন্টু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জগ প্রতীক নিয়ে মোঃ আক্কাস আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন, পৌর জামায়াতের আমির নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

সামনে অর্থাৎ ২৪ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে জনগণের ভোটের স্বাধিনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে কাজ করছে দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। তাই এবারের বাঘা পৌরসভার নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমনটায় আশাবাদী রাজনীতিবিদরা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে, মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে এমনটায় বলছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রার্থী পাঁচ জন হলেও লড়াই হবে মূলত সরকারি দলেই, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা আক্কাস আলীর।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তৃণমূলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আক্কাস আলীর। তবে ছাড়া যাচ্ছেনা বিএনপিকেও। কারন বর্তমানে দেশে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি সরকারকে বিপাকে ফেলেছে। যার কারনে অনেকটায় ক্ষিপ্ত সাধারণ জনগণ। এবারের নির্বাচনী রূপ অন্য রকমও হতে পারে। তাই নিরবে ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কামাল হোসেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বললে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ভোটারদের অভিমত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোট ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে আক্কাস আলী। তবে অনেকেই বলছেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে ত্রিমুখী।

আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের শাহিনুর রহমান পিন্টুর দাবী, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বিবেচনা করলে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষের আস্থার প্রতীক নৌকাকে বাঘা পৌরবাসী অবশ্যই নির্বাচিত করবেন। অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস আলীর দাবী, দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবন এবং জনপ্রতিনিধিত্ব করে আমি জীবনভর জনসেবা-ই করে আসছি। আশা করি এ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভালবাসার প্রতিফলন হিসেবে জগ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন।

তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, বাঘাতেও সেই নির্দেশনার প্রতিফলন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে নৌকার প্রার্থী পিন্টু ও তার সমর্থকরা আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করছে, নানা ভাবে আমাকে হুমকিধামকি সহ বাধাবিপত্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে এবং সর্বশেষ নিজের অফিস পুড়ানোর নাটকীয় অভিযোগ দিচ্ছে আমার নামে। আমি এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আবেদন করেছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সকল অনিয়মের অভিযোগও দিয়েছি ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে, নির্বাচনে বিজয়ী হলে পৌরসভা ও পৌরবাসীর জন্য কি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এই পৌরসভা গ শ্রেনীতে ছিল অর্থাৎ সি গ্রেড। সেখান থেকে আমি আক্কাস ক শ্রেনীতে বা এ গ্রেডে রুপান্তরিত করেছি। এবার বিজয়ী হলে আমি এই পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা বানাবো। পৌরবাসীর সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবো। এছাড়াও আমার এলাকার প্রতিটি রাস্তা নির্বিঘ্ন চলাচল উপযোগী করে তুলবো। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। সর্বোপরি আমি আগেও মাদক ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম আগামীতেও এটার বিরুদ্ধে অভিযান থাকবে।

আগামী নির্বাচন নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আবুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর অবস্থা ঘটেনি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন হবে এবং শতভাগ উপস্থিতি হবে বলে আমরা আশা করছি। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভায় একযোগে মোট ১১ টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন চলবে। এতে মোট ভোটার ৩১৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫৮১২ এবং মহিলা ১৫৮৫৭ জন