ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দৌলতপুরে জনতার মুখোমুখি ইউপি সদস্য মাহাবুল হক

ফরিদ আহমেদঃ যে মাসুষগুলো ক্ষেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে, রিক্সা চালিয়ে, মানুষের ঘরবাড়ি বানিয়ে দিন পার করে এমন মানুষগুলো স্কুল কলেজের শিক্ষক, ডাক্তারসহ শিক্ষিত মানুষের পাশাপাশি নিজের এলাকার প্রয়োজন অভাব নিয়ে সরাসরি জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন এমন বিষয় সচরাচর কারো ভাবনায় আসে না। শুধু ভোটের সময় এই সমস্ত অভাবগ্রস্থ মানুষ মানুষের প্রয়োজন এবং মূল্য বাড়লেও বছরের পর বছর তাদের কেউ খোঁজ রাখে না। জনপ্রতিনিধিরাতো তাদের পাশেই আর যায় না।

এমন অবস্থায় বর্তমান স্থানীয় সরকার ইউপি’র ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে অর্জন ও করণীয় প্রসঙ্গে জনতার মুখোমুখি হয়ে ৭নং হোগলবাড়ীয়া ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, গণমাধ্যম কর্মী মোঃ মাহাবুল ইসলাম এলাকার জনগণের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে সেই পুরানো ধ্যান ধারণা ভেঙ্গে দিলেন। জনপ্রতিনিধি আর জনগণ এক কাতারে এসে খোলামেলা কথা বললেন। এই অনুষ্ঠানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে তা হলো জনগণের ভোট নিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবার পর অনেকেই এলাকাকে ভুলে যান। অনেকেই জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি মনে রাখে না। জনগণের কাছে কোন জবাবদিহি করেন না। এই ধারা পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই প্রথম উপজেলার শশীধরপুর গ্রামে শুশিল সমাজের উদ্যোগে এলাকার ইউপি সদস্যকে ‘জনতার মুখোমুখি’ করা হয়েছিল।

জনপ্রতিনিধি মাহাবুল হক রোববার  ১ জানুয়ারী ২০২৩ ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে রাজমিস্ত্রী, ভ্যান চালক, ছাত্র-কৃষক থেকে শুরু করে শিক্ষক, রাজনীতিবিদদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন এবং তার উত্তর দেন। প্রশ্নের জবাবে কখনও নিজের ব্যর্থতা, কখনও সফলতা, কখনও সমস্যার সমাধানের চেষ্টার কথা এবং তার দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে অঙ্গিকারে সচেষ্ট হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সকল শ্রেণীর মানুষের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত। সমাজ সেবক আঃ হান্নানের সভাপতিত্বে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে জনতার প্রশ্নপর্বের আগে বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক রবিউল ইসলাম রবি।

খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে এলাকার কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, সাধারন মানুষ তাদের চাহিদা ও প্রাপ্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইউপি সদস্য মাহাবুল হক প্রশ্নকারীদের সাধ্যমত জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন এবং উত্থাপিত সমস্যার সমাধানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। তিনি উল্লেখ করেন সামনা সামনি কেউ কোন সমস্যার অভিযোগ করতে সংকোচ বোধ না করার কথা বলেন। মাহাবুল হক প্রশ্নকর্তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গর্বের সাথেই বলেন যখন আমি ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব নেই তখন আমার এলাকায় সাধারন মানুষের চাপা ক্ষোভ দেখেছি কিন্তু গত এক বছরে সর্ব প্রথম এলাকার প্রত্যেক বাড়ী বাড়ী গিয়ে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় কে আছে তাদের চিহ্নিত করে সরকার কর্তৃক প্রদত¦ চাউল, নগদ অর্থ, কাজের বিনিমিয়ে খাদ্য কর্মসুচী দিয়ে সমস্যা সমাধান করেছি। পরবর্তীতে আগের চেয়ে কম অসচ্ছল ব্যাক্তিদের সরকারী,বেসরকারীও ব্যাক্তিগত অর্থায়নে সুখি রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। সেই সাথে জনগণকে উন্নয়নে সক্রিয় হবার চিন্তা চেতনাকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।