1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
ফের বিতর্কিত শিক্ষক ড. মোয়াজ্জেমকে নিয়ে সমস্যায় শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল - dailynewsbangla
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্যালাইন পানি  নিয়ে পথচারী ও ভ্যান শ্রমিকদের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটু শরীফ নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন  গ্রেফতার   ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়  তীব্র তাপদাহে নগরীর ১০ টি পয়েন্টে স্যালাইনপানি বিতরণ করবে রাসিক দৌলতপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে  প্রতিপক্ষের উপর হামলা, আহত ৩ বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে পথচারীদের বিশুদ্ধপানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বোয়ালমারীতে ২০টি মাদক মামলার আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার

ফের বিতর্কিত শিক্ষক ড. মোয়াজ্জেমকে নিয়ে সমস্যায় শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
রাজশাহী ব্যুরোঃ যেখানে যায় সেখানেই সমস্যার জন্ম দেয় ওএসডি হওয়া সেই সাবেক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন। সমস্যার সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই দেশে একমুখী শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সরকারের  শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিরোধিতা করছেন  রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ  বিতর্কিত সেই ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং  মৌলবাদী কয়েকজন শিক্ষক। তাঁরা ক্লাস থ্রি থেকে নাইন পর্যন্ত লেকচার পাবলিশার্সের নোটবইয়ের বুকলিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যেহেতু সরকারি স্কুলগুলো স্থানীয় ভাবে জেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক সরাসরি তত্ত্বাবধান করে থাকেন, তাদের এই ধরনের উদাসীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকেও দুষছেন অনেকই।
রাজশাহী মহানগরীর অন্যান্য সরকারি স্কুলে এই ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিতর্কিত ড. মোয়াজ্জেম হোসেন যখন যে প্রতিষ্ঠানে পদায়ন পেয়েছেন সেখানেই নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। ইতোপূর্বে রাজশাহী কলেজে কর্মরত থাকার সময় হোস্টেলের ছাত্রদের সঙ্গে হাতাহাতি মারামারি করে প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন। সেই সময়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলী রেজা মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এখনো তাঁর প্রতি বিরূপ ধারণা প্রকাশ করে থাকেন। সরকারি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ থাকতে তিনি দারোয়ানকে মেরে দাঁত ভেঙে দেয়ার রের্কড গড়েছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার পরই তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং অফিসার কর্মচারীদের সঙ্গে মারামারি করেন। ১৭ মার্চ ২০২০ সালে মুজিববর্ষের  অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দের সামনে বক্তব্য দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধুকে আবেগপ্রবণ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করেন।  সাংবাদিক ও সুধীসমাজ এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের ব্যানারে  মানববন্ধনের মাধ্যমে তাঁর বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তদন্ত হলে তার সত্যতা প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলায় অভিযুক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় তাকে ওএসডি করেন। কিন্তু বিসিএস শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেনদরবার করে তাঁকে ভৎর্সনা দণ্ড দিয়ে রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। যদি মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের দায়ের করা কয়েকটি মামলা এখনো আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে।
এই কলেজে দায়িত্ব নিয়েই তার সেই স্বভাববশত কর্মচারী শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে প্রায় ২০/২৫জন শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক টিসি দিয়ে বহিষ্কার করেছেন বলে সূত্রে নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক, কর্মচারী জানিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পরই ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সরাসরি  সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সোহান রেজা, আবদুল ওয়াদুদ, আসাদুজ্জামান ও তাঁর আত্মীয় মেহের সর্দারকে নিয়ে কলেজে প্রতিক্রিয়াশীল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। প্রতিষ্ঠানে দ্বন্দ্ব বিভাজন সৃষ্টি করে নানা অনিয়ম ও অর্থ তসরুপ অব্যাহত রেখেছে।
তার নেতৃত্বে এবছর একমুখী শিক্ষা ও কারিকুলামের তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে নোট গাইডের বুকলিস্ট শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। রাজশাহী পুস্তক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ খুব বিস্ময় ও হতাশা ব্যক্ত করে বলেন সোহান রেজার মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন লেকচার পাবলিশার্সের নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে গত নভেম্বরে ঐ চার জন শিক্ষককে নিয়ে দার্জিলিং ভ্রমণ করেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক বিশেষ ক্লাসের নামেও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা তুলে চার পাঁচজন শিক্ষক ভাগবাটোয়ারা করায় অধিকাংশ শিক্ষক চরম অসন্তোষ বলে জানিয়েছেন। শিক্ষা সফরের নামেও চৌদ্দ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে খরচ করা হয়েছে মাত্র চার লাখ টাকা। বাকি দশ লাখ টাকা গেছে এই সিন্ডিকেটের পকেটে। একটি সুন্দর প্রতিষ্ঠানে একজন বির্তকিত ব্যক্তিকে পদায়ন করা মোটেও সমীচীন হয়নি বলে সরকারি দলের নেতৃবৃন্দ শিক্ষামন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসকের প্রতি দৃষ্টিগোচর করার বিষয়ে অভিমত দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ