ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেল, জরিমানা ও মুচলেকা

মোঃবেল্লাল হোসেন 
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার দিনবর উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের যৌথ অভিযানে দশমিনা তেতুলিয়া নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয় ।
জানা যায় গত সোমবার সকাল- সন্ধ্যায় উপজেলা মৎস্য ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধ ভাবে পাঙ্গাসের ছোট রেনু  এবং কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় ১৮ জনকে জরিমানা, ৬ জনকে মুচলেকা ও ২ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয় । আটক কৃতরা হলেন বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার শানু হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাং(৩৫), মৃত. সয়েদ উদ্দিনের ছেলে নুরু হাওলাদার(৫০),রশিদ হাওলাদরের ছেলে সুজন হাওলাদার(১৮), মৃত.আদমআলী খাঁনের ছেলে রাজ্জাক খাঁন(৪০),শানু হাওলাদারের ছেলে মতিয়ার হাওলাদা(৪০), কাদের হাওলাদরের ছেলে জলিল হাওলাদার(৫৩)মৃত.আইজউদ্দিন প্যাদার ছেলে মোঃ রাজ্জাক প্যাদা(৬০), শানু হাওলাদরের ছেলে আব্বাস হাওলাদার(২৩), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার  জলিল চৌকিদারের ছেলে মনির চৌকিদার(৩২) অমূল্য চন্দ্র দাশ ছেলে শান্তি রঞ্জন দাশ(৬৩), মৃত.মুকুল চন্দ্র দাশের ছালে গৌরঙ্গ চন্দ্র (৬৫), মৃত.রমন দাশের ছেলে সচিন চন্দ্যর দাশ(৮০), শানু আকনের ছেলে সবুজ আকন(২৫), ), জলিল চৌকিদারের ছেলে মনির চৌকিদার(৩২)কে পাঁচ হাজার টাকা জিমিনা করার হয়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বুলু হাওলাদরের ছেলে নাজমুল হাওলাদা (১০), দেলো হাওলাদারের ছেলে শাকিল হাওলদার(১২), মতিউর হাওলদারের ছেলে রবিউল হাওলাদা(১৩), মতিউর হাওলাদরের ছেলে কাওছার হাওলাদারকে(১৫)মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ঐ দিন সকালে তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে জাটকা ধরায় নৌপুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নূরাবাদ গ্রামের ছনাউল্লার ছেলে মোঃ আল আমিন(৩০), আঃ রহাম(২১) আটক কারে মৎস্য সংরক্ষন আইন ১৯৫০ সনের (সংশোধনী/২০১৩)এর ৫(২) ধারায় নিয়মিত মামালা রুজু করা হয়। দশমিনা থানা মামলা নং-০৮ এবং মোঃ নাহিদ(১২), মোঃ রাসেল(১৩) কে মচলেলা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মোঃ সুরুজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ২২ জন জেলেকে  আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪টি পাঙ্গাসের রেনু ধরার জাল, ৫১শত মিটার কারেন্ট জাল ও ৪ টি ট্রলার জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন উপজেলার তেতুলিয়া নদী থেকে  অবৈধ কাটেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য আইনে  ১৪
 জনকে পাঁচহাজার টাকা করে জরিমা, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরন  ও বয়স বিবেচনায় ছয় জনকে মুচলেকা নেয়া নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ।