ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দেলদুয়ার নাগরপুরে হাজারো জনতার মাঝে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু

কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: দেলদুয়ার নাগরপুরকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ৫ই ফেব্রুয়ারি’২৩ রোজ রবিবার দিনব্যাপী দেলদুয়ার নাগরপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক গণসংযোগ করলেন নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, তৃণমূলের প্রানের স্পন্দন, টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু।

শুরুতে দেলদুয়ার বাজারে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সাধারণ জনতার সাথে মত বিনিময় করেন।

এ সময় সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে তাকে বরণ করে নেন।

পরবর্তীতে এলাসিন বাজারের নাল্লাপাড়া মোড় হতে গণসংযোগ শুরু করেন। এখানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে উপস্থিত সাধারণ জনতার সাথে মতবিনিময় করেন।

এরপর এলাসিন বাজার জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে উপস্থিত সকল মুসল্লিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষ করে এলাসিন পুরাতন বাজার কালী মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজিত মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন।

উক্ত অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে পৌঁছালে উক্ত নাম যজ্ঞানুষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ও সাধারণ জনগণ উৎসবমুখর আনন্দঘন পরিবেশে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা তারেক শামস্ হিমু বলেন- ফেব্রুয়ারি মাস, ভাষার মাস। ভাষার জন্য যে সকল শহীদ জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” – এই বাণীকে বুকে ধারণ করে আমাদের বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।

আপনারা জানেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের স্লোগান ছিল “জয় বাংলা”। এই “জয় বাংলা” স্লোগান নাকি হিন্দু সংস্কৃতির সাথে জড়িত।তাই এই “জয় বাংলা” স্লোগানকে মুছে দিতে বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকার নানা ধরনের পায়তারা শুরু করে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা পূজা পার্বণ পালনে বাধাগ্রস্ত করে। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনকে চরম নির্যাতন নিপীড়ন করে।

কিন্তু বাংলাদেশ আ’লীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায় তথা সকল ধর্মের জনগণ শান্তিতে এবং আনন্দের সাথে ধর্ম পালন করতে পারছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে আ’লীগ সরকার যাতে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাব।

এই অনুষ্ঠানটি শেষ করে নাগরপুর উপজেলাধীন দপ্তিয়র ইউনিয়নে গরীবে তৈয়ব উদ্দিন পীর সাহেবের ৪৯তম বার্ষিক পবিত্র ওরস মোবারক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকিত করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দপ্তিয়র ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল হাসেম, সাধারণ সম্পাদক মো: ফজলুল হক খোরশেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ শাহিনুর পাশা স্বপন।

এছাড়া দপ্তিয়র ইউনিয়ন আ’লীগের সকল নেতৃবৃন্দ, সকল ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ফুলের মালা দিয়ে প্রধান অতিথিকে বরণ করে নেন।

প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন – ওরস মোবারক, জারি গান, বাউল গান, ওয়াজ মাহফিল এগুলো আমাদের নাগরপুরের ঐতিহ্য।

আমি অতীতেও যেরকম এই সকল সংস্কৃতির সাথে মিশে ছিলাম, বর্তমানেও যেভাবে আছি এবং ভবিষ্যতেও একই ভাবে থাকতে চাই।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে নির্বাচিত করে এই সংস্কৃতির ধারা বিস্তারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবেন, ইনশাআল্লাহ।

আলোচনা সভা শেষ হওয়ার পর বিশেষ একটি ঘরোয়া মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত ঘরোয়া মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বারবার নির্বাচিত সফল ও মানবতার চেয়ারম্যান মোঃ কুদরত আলী।

আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ নাজমুল হক তপন এবং প্রবীণ আ’লীগ নেতা মোঃ আবুল কাশেম।

দিনব্যাপী এই গণসংযোগ কর্মসূচিতে সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন, জাতীয় শ্রমিক লীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ বাদশা মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান নান্নু সহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।