ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় গার্ডার ব্রিজের এ্যাপ্রোজ জন দুর্ভোগে দুই ওয়ার্ডের ২০ হাজার জনগন

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় প্রায় ১বছর ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ আরজবেগী- সৈয়দজাফর বাজার সেতু। গত এক বছর আগে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। দুই পাশের এ্যাপ্রোজ সড়ক না থাকায় জনগনের কোন কাজে আসছেনা চার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই সেতু।
সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন সুত্রে যানা যায়,দশমিনা ইউপিসি (পোষ্ট অফিস)আরজবেগী বাজার চেইনেজ ৫০০০ কিঃ মিঃ আরজবেগী খালের উপড় ৩৪ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি গার্ডার ব্রীজ ও সংযোগ সড়কের ১লা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ভিক্তি পুস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের জুন মাসের দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতুর দক্ষিন ও উত্তর পাশের এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ না করায় বন্ধ রয়েছে যানবাহন ও লোকজন চলাচল। সেতুর পাশে ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঠের পোল দিয়ে চলাচল করছে দউি পারের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার দৈনিক হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগন।
ইউপি সদস্য হারুন সরদার বলেন, এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণের জন্য দোকান পাট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে অবহেলা করে এ্যাপ্রোজ সড়ক ফেলে রেখেছে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। সেতুর পাশে থাকা জোড়া তালি দেয়া ভয়াবহ কাঠের পোল দিয়ে জরুরী কোন রোগী ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আনতে পারছেনা। ব্যবসাহীরা ঠিক মতো পরিবহ করতে পারছেনা পন্য দ্রব্য। তাই অতি দ্রুত গার্ডার ব্রিজের এ্যাপ্রোজ নির্মান করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মরন নামক দূর্ঘটনা
০৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার বলেন ব্রিজের মূল কাজ অনেক আগে শেষ হয়েছে এখোন এ্যাপ্রোজ এর কাজ হলে আরোজবেগী ও সৈয়জজাফর এলাকার স্কুল ,কলেজ, মাদ্রসায় শিক্ষার্থী ও সাধারনজনগন যাওয়া আশা করতে পারবে এবাং ব্যবসায়ীরা মাছ, গাছ সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করতে পারবে। এ এ্যাপ্রোজের কারনে পাশে একটি নরবরে কাঠের পুল দিয়ে শুধু লোক জন আসা যাওয়া করতে পারে এই কাঠের পুল বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মরন ফাঁধ হয়ে আছে। প্রশাসনের কাছে নিবেদন দ্রুত ব্রিজটির এ্যাপ্রোজের কাজ শেষ করে জনদূবের্ভাগ থেকে সাধারন জনগন ও শিক্ষার্থী নিবিগ্নে পথ চলা ব্যবস্থা করার।

৪নং ওয়ার্ডের আরজবেগী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক ছাড়া এ সেতু কোন কাজে আসবে না । তবে দ্রুত এ্যাপ্রোজ সড়কটি হলে এলাকার মানুষের জীবনমান বদলে যাবে। দু’পাশে দ্রুত এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণের দাবী জানাই।
মেসার্স সম্পা কনষ্ট্রাকশন (জেভী) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল হোসেন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ্যাপ্রোজ সড়কটির নির্মাণ কাজ স্লোবের রিভেজ গাইড ওয়াল জটিলতার কারনে কাজটি বন্ধ আছে। তবে চিপ ইঞ্জিনিয়ারের সাক্ষরের অনুমিত পেলে এ্যাপ্রোজ সড়কের কাজ শুরুকরা হবে। কাঠের পুলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ৩-৪ বার সংস্কার করে দিয়েছি আর পারবোনা। আমাদের বাজেটের চেয়ে বেশি খরচ করছি। এখোন উপজেলা এজিইডির প্রকৌশলীকে বলেন তারা করে দিবে ।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন , এ্যাপ্রোজ সড়কের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং রিভেজ গাইড ওয়ালের জন্য কাজটি আটকে ছিলো এখন তা অনুমোদন হয়ে গেছে। জনগনে চলাচলের উপযোগী করার লক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে। নরবরে কাঠের পুলের কথা বললে তিনি বলেন অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে বিষয়টি জনসাধারনের চলাচলের জন্য দ্রুত পুলটি সংস্কার করা হবে।