ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

তানোরে জমি হাতিয়ে নিতে ওয়ারিশন সনদ বাতিলের অভিযোগ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি অবৈধভাবে ভোগ দখল করতে ওয়ারিশন সার্টিফিকেট বাতিলের অভিযোগ উঠেছে তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুলের বিরুদ্ধে।

জানাযায়, অভিযোগকারি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওয়ারিস বাতিলের দাবি জানিয়ে গত ৩০ নভেস্বর ২২ তারিখে মৃত আব্দুল করিমের ছেলে শিশ মোহাম্মদ মেয়র ইমরুলের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তানোরের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিয়াকত আলী অভিযোগকারিদের ওয়ারিস সনদ যাচাইয়ের জন্য পূন্যতদন্তের প্রস্তাব রাখেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৮ ডিসেম্বর ২২ ইং তারিখে তানোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ইমরুল হকের মনোনিত ১৪ সদস্যের একটি সভায় সিদ্ধান্তক্রমে পূর্বেরসহ বর্তমানের সকল ওয়ারিশন সার্টিফিকেট বাতিল করেন।
জানা যায়, লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ওয়ারিশন সনদ যাহার ক্রমিক নং ১৬৫১, ১৬৫২, ১৬৫৩, ১৪০৩, ১৪০৪, ১৪০৫, ১৪০৬, ১৪০৭ বাতিল করা হোক। শিশ মোহাম্মদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সনদে সুপারিশকারী সংরক্ষিত ১ নং মহিলা কাউন্সিলর গোলেহার নাজনীন বলেন আমাকে ভুল বুঝিয়ে ওয়ারিশন সনদে সুপারিশ করা হয়েছে তা বাতিল করা হোক। সেই সুপারিশে গত ২৮ ডিসেম্বর ২২ ইং তারিখে উপরোক্ত সকল ওয়ারিশন সনদ বাতিল করা হয়। যা পক্ষপাতমূলক ও অযৌক্তিক এবং জমি দখলে পক্ষে একটি ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট সিদ্ধান্ত। ভুক্তভোগী ওয়ারিশ তপন মজুমদার বলেন, তানোর উপজেলায় আমাদের কিছু পৈতৃক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে শিশ মোহাম্মদের সঙ্গে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবৎ নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের পূর্বপুরুষের ওয়ারিশন সনদ বাতিল করতে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে পক্ষপাত মূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনের নিকট থেকে নেওয়া ওয়ারিশন সনদ গুলো মেয়র কি ক্ষমতায় বাতিল করলেন তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তিনি কোন যাচাই বাছাই না করে একটি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধুমাত্র সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই চক্রটি আমাদের পূর্বপুরুষ দূর্গাচরন মৈত্রের ছেলে বিশ্বলোচন মৈত্র ও কন্যা হেমনলনী দেবীকে অস্বীকার করছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ইং সালসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়র আমাকে ওয়ারিশন সনদ প্রদান করেছেন, কিন্তু গত ২৮ ডি২২ ইং তারিখে মেয়র ইমরুল হক একটি সভার মাধ্যমে সকল সনদ বাতিল করিয়া তা বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। এই ঘটনায় আমরা চরমভাবে হতাশগ্রস্ত।

শিশ মোহাম্মদ ওয়ারিশন সনদ বাতিল আবেদনে বলেন, মুক্তাকেশি দেবী স্বামী মৃত দূর্গাচরন মৈত্র, এবং শ্রী হেমনলনী দেবী, পিতা দূর্গাচরন মৈত্র তানোর উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন না। সরকারি রেকর্ড পত্রে তাদের কোন নাম নাই। তবুও তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন ওয়ারিশন সনদ দিয়ে আমার পিতার রেজিষ্ট্রিকৃত বিনিময় দলিল তপন চন্দ্র মজুমদার নাম জারি করিয়া লইয়াছে। আবেদনে আরো বলা হয়েছে, ওয়ারিশন কাগজের বলে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পত্তি উর্পিত সম্পত্তি যাহা প্রত্যাবর্তন আইনের আওতায় অবমুক্ত করিয়া এবং মামলা দাখিল করিয়া আত্মসাৎ করিতেছে।
এদিকে তপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মুলত আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করিতে চক্রটি নানাভাবে হয়রানি করছেন।
ওয়ারিশন সনদ বাতিলের বিষয়ে জানতে তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হককে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বক্তব্য নিতে ১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর গোলেহার নাজনীনকে ফোন করা হলে তাঁর ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।