ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত।

মোঃ বেল্লাল হোসেন 
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রায় উপজেলার চরহাদী ইউনিটের ১০ নেতাকর্মী আহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত প্রোগ্রাম এর অংশ হিসাবে শনিবার দশমিনা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা  আবস্থান করে নিজেস্ব ও অস্থায়ী কার্যালয়ে।  উক্ত পদযাত্রায় যাহাতে জনগনের যান-মাল ও রাস্তায় জানচলাচলে কোন প্রকার বিগ্ন না ঘটে তা নিঃশ্চিত করার জন্য সকাল থেকে দশমিনা থানা পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের একের পর ছিলো মোহরা। বিকেল ৪ টায় উপজেলা সদরে চৌরাস্তার মোরে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে  পদযাত্রার প্রস্তুুতি নিলে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশ ধাওয়া দিলে চরহাদী ইউনিটের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন হাওলাদা এর পায়ের উপরের অংশ ভেঙ্গে যায় এবং সদস্য আঃ রাজ্জাক বেপারীর সিনার কন্টা ভেঙ্গে যায় এবং ১০-১২ জন আহত হন আহতদের দশমিনানহাসপাতে ভর্তি করা হয়। দশমিনা হাসপাতের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিকা বসাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিপন ও রাজ্জাকে বরিশাল শেবাচিন হাসপাতালে প্রেরন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা যুবদলের সদস্য কবির হোসেন বলেন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ ভাবে পদযাত্রা কারার প্রস্তুুতি নিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু সন্ত্যরাসী আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আঃ রাজ্জাক ও মোঃ রিপন সহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রিপন ও রাজ্জাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শে-রে-ই বাংলা হাসপাতালে নিয়া যাওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ আলম শানু বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত প্রোগ্রাম দশমিনা সফল ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি ৭ টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে পদযাত্রায় অংশ নেই। সদর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডে  বিকেল ৪ টায় পদযাত্রার প্রস্তুতি নিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলা করে। আমি খবর পেয়ে হাসপাতলে যাই দুই জনকে বরিশাল উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় আর ১০-১২ জনকে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্যরাসী হামলার তিব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনগনের সরকার। বিএনপি ও জামায়েত দেশে যাহাতে কোন নৈরাজ্য করতে না পরে তার জন্য জনগনের সেবাদানে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জনগনের পাশে ছিলো। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে বিশ্বাস করেনা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনগনের পাশে আছে এবং থাকবে।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃমেহেদী হাসান বলেন, সাধারন জনগনের জান-মাল দশমিনা থানা পুলিশ শতকর্ক অবস্থানে ছিলো। কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি তাদের প্রোগ্রমে আসার পথে নিজেদের গাড়িতে সংঘর্ষে আহত হয়।