ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পুরুষের সমান কাজ করেও আদিবাসী নারী শ্রমিকদের মজুরির বৈষম্য  

মো.আককাস আলী : আবহমানকাল ধরেই পুরুষের চেয়ে নারীর মজুরি প্রায় অর্ধেক। পুরুষের কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে আদিবাসীর নারী শ্রমিকেরা পুরুষের সমান শ্রম বিক্রি করে। অথচ সমান কাজ করেও নারীরা পুরুষের তুলনায় প্রায় অর্ধেক মজুরি পায়। একবিংশ শতাব্দিতেও এই দৃশ্য বড়ই হৃদয় বিদারক! নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার জননী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যখন উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ঠিক তখনি নারীদের অর্ধেক মজুরি দিয়ে ইটভাটা, ধান রোপণ, রাজমিষ্ট্রির জোগালি ও অন্যান্য কাজে পুরুষের সমান কাজ করেও নারী হওয়ার অপরাধে তারা অর্ধেক মজুরি পায়। ইহা কোন মতেই কাম্য নয় সমালোচকদের অভিমত।
স্থানীয় এলাকার ধুনিয়া,সারথি,বিথি আদিবাসী নারী শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, “হামরা বেটিছল হয়ে জন্ম নিচি। বিয়া হওয়ার আগে শাসন করতো বাপ-ভাইরা। বিয়া হওয়ার পরে শাসন করে স্বামী-দেবররা। হামরা বেটিছল হয়ে জন্মাচি, এটাই হাংকেরে বড় পাপ! তোরা যদি দয়া করে পেপরের কাগোজোত লিকিশ, তালে হয়তো হাংকেরে কিচুটা হলিও উপগার হবি।”
এ বিষয়ে চেরাগপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের গৃহস্থ আবুল হোসেন জানান, ‘মেয়েরা যতোই বড়াই করুক, তারা পুরুষের সমান কাজ করতে পারে না। তাই মজুরি কম। এই নিয়ে আফসোস করার কিছুই নেই।’
প্রবীণদের নিয়ে গবেষক,জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্টা সভাপতি কবি মো.আককাস আলী বলেন, সমাজের সচেতন মহল সজাগ হলে এই বৈষম্য থাকবে না। নারী পুরুষের সমান অধিকার। এই অধিকারের  সুষুম বন্টনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে গৃরস্থদের, তবেই ফিরে আসবে সমঅধিকার।