ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

মোহনপুরে বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নব্য নিয়োগ প্রাপ্তদের MPO স্থগিতের আবেদন

রাজশাহী ব্যুরোঃ গত ৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে আদালত অবমাননা করে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪ নং মৌগাছী ইউনিয়নের বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ৪র্থ শ্রেনীর তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেসময় ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ৩ নং দাতা সদস্য মোঃ মোনায়েম (৫৫) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার বরাতে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর জেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ মোহনপুর সহকারি জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ৩ নং দাতা সদস্য মোঃ মোনায়েন (৫৫)। যার মামলা নং ৩০৪/২০২২। ঐ মামলায় তিনি আদালতের কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদনও করেন। এরপর গত ২৯ নভেম্বর ২০২২ তারিখে আদালত বাদীর আবেদন পর্যালোচনা করে নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দেন। এরপরে আদেশের কপি দ্রুত ঐ স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছানো হয়। কিন্তু ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মৌগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল ওহাব দেওয়ান ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন তড়িঘড়ি করে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ডিসেম্বরের ৩ তারিখে উল্লেখিত তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করেন। এতে অফিস সহায়ক পদে চুনিয়াপাড়ার মোস্তফার ছেলে জুয়েল, আয়া পদে একই এলাকার আলমগিরের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে আকুবাড়ি গ্রামের কাদেরের ছেলে আবদুল আওয়াল’কে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়ন করতে আবারও আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে ঐ অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের মানথলি পেমেন্ট অর্ডার (MPO) করনের জন্য জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর পাঠান স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই এমপিও স্থগিতের দাবী জানিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারীতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক আঞ্চলিক কর্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে আগের মামলার বাদী মোনায়েম। ঐ অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি অভিযোগকারি মোঃ মোনায়েম। উপরোক্ত নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি পেয়েছি। উক্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে জেলা রাজশাহী বিজ্ঞ মোহনপুর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নাম্বার ৩০৪/২০২২। সেই মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপরোক্ত পদ তিনটির এমপিও বন্ধের জন্য আপনার প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো।
পরে মামলার বাদী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, এই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে আমরা আগেও ছিলাম এখনও আছি। তবে দলীয়ভাবে আমাদের অনেক চাপ দেওয়া হচ্ছে। এত কিছুর পরেও তাদের এমপিও করনের জন্য আমাদের এমপি আয়েন উদ্দিন সুপারিশ করছেন। এমপি’র এমন আচরনে বলে দিচ্ছে এই নিয়োগের ব্যাপারে রফাদফা হয়েছে। আমরা এই নিয়োগ মানিনা। আবার সকল নিয়মনীতি মেনে এই পদের পুনঃনিয়োগ দেওয়া হোক।

এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সমন্বয় মিটিংএ আছি পরে কথা বলবো। পরে উপ-পরিচালক শরমিন ফেরদৌস চৌধুরির সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার কাছে অভিযোগ দিতে এসেছিল, কিন্তু আমার মিটিং থাকার কারনে আমি তাদের জেলা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।