রনি আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে আব্দুল জব্বার যোগদানের পর থেকে মাদকসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটা, বালি উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ৩১তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় নিজে উপস্থিত হয়ে উন্নয়ন মুলক সকল কাজ পরিদর্শন করে থাকেন তিনি। মাদকের ডেরায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে মাদকের ঘাঁটিগুলোকে বন্ধের পথে নিয়ে এসেছেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন যে কোন সময় তার পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মস্থলে যোগদান করবেন তিনি। ঠিক এমন সময় তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করছে একটি কুচক্রিমহল।
যারা অবৈধভাবে মাটি কাটতে পারেনি, বালি উত্তোলন করতে পারেনি, মাদক ব্যবসা করতে পারেনি, অনিয়ম দুর্নীতি করতে পারেনি তাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি চক্র হঠাৎ করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে নির্বাহী অফিসার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে করছে মিথ্যাচার।
এদিকে এই উপজেলায় দায়ীত্ব গ্রহনের পর থেকে একটি বিষয় প্রচলিত হয়েছে যে ইউএনও’র দরজা সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকে। তিনি অফিস টাইমের পরেও নিজ বাসাতেও ভুক্তভোগি সাধারণ মানুষের কথা শোনেন ও তাদের পাশে দাঁড়ান। এমন একজন নির্লোভ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তার মনবল ভেঙ্গে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্য সচেতন মহল। উপজেলার সমাজসেবা অফিসে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাতা নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তার সমাধানেও তিনি পথ খুঁজেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মাইকিং করে প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্কভাতা প্রাপ্তদের উপস্থিত করে স্বচক্ষে দেখেছেন তারা ভাতার উপযুক্ত কিনা? ভাতা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের তিনি ভাতার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে যেকোন রকম অনিয়ম পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন ইউএনও আব্দুল জব্বার। আজ সেই সকল অনৈতিক সুবিধাবঞ্চিতরা জোট বেঁধে ইউএনও আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবী করেছেন। সেইসাথে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এই উপজেলার সাধারন মানুষ।
উল্লেখ্য-সম্প্রতি মাদক প্রতিরোধে সচেতনতা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পথসভা, মাদক বিরোধী গানসহ নানা উদ্যোগের ফলে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত কয়েক মাসে ১৩৯ জন মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এই সকল ভাল কাজের সুফল পেয়েছে মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। যার জন্য প্রসংশায় ভাসছেন ইউএনও আব্দুল জব্বার।