ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

সালথায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ইং পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা পরিষদের চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর পর্যায়ে ক্রমে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সালথা থানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা যুবলীগ, সালথা মডেল প্রেসক্লাব, সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সালথা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদের চত্বর থেকে প্রভাত ফেরি একটি র‍্যালী বের হয়ে সালথা সদর বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সূচনা স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আক্তার হোসেন শাহীনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন আইয়ূবী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম ইফতেখার আজাদ, উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) জীবাংশু দাস, উপজেলা মৎস্য অফিসার রাজীব রায়, সালথা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পরপরই সকলেই কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ, ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে ভাষা আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ ছাত্ররা মিছিল করেন। পাকিস্তানি বাহিনী সেই মিছিলে গুলি চালায়। গুলিতে শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকই। তাঁদের স্মরণেই এই শহীদ মিনারের সামনে এসে সকলেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ছেয়ে যায় মিনারের বেদি।