রাজশাহী,বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের রমজান পাড়া বিলের গভীর নলকুপ (ডিপ) অপারেটর মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তার বিরুদ্ধে বুরোধান চাষের পানি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । পানির অভাবে মরুভূমি হয়েছে ঐ বিলের একটি অংশ। পানির জন্য হা হা কার করছে কৃষকরা। এমন দৃশ্য এখন বিলটিতে। কৃষকদের অভিযোগ চলতি বছরে গভীর নলকূপটি নতুন অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তার (৪০)। এরপর থেকে গভীর নলকূপের পানি সেচ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অনিয়ম। প্রায় ১৫ দিন থেকে কৃষকদেরকে পানি দিবেন বলে তালবাহানা করছেন মুক্তার। অথচ পানির অভাবে বিলের পশ্চিম অংশের প্রায় ১৫০ বিঘা জমি ফেটে চৌচির।
উল্লেখ্য, বিলটিতে মাছ চাষ কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি এবং মামলা হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তির অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের কারণে সেচে পানি দেওয়া হচ্ছে না।
তবে কিছু অসৎ মৎস্যজীবীর উস্কানিতে পূর্বের অপারেটরকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে জটিলতা সৃষ্টির কারণে চলতি বোরো মৌসুমে ওই নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে সেচ নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় কৃষক, আহমেদ আলী, মোসলেম উদ্দিন, আকবর আলী, মমতাজ আলী, আয়নাল হক, ইয়াকুব আলী, আরশাফ আলী, দুলাল হোসেন, জানানা, নলকূপটি স্থাপনের পর থেকে এখানকার শত শত কৃষক তাদের জমিতে পানি সেচ দিয়ে অধিক ফলন ঘরে তুলতে পেরেছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ বছরেও বুরো আবাদের জন্য জমি প্রস্তুতসহ চারা উৎপাদন করেছি। কিন্তু এরই মধ্যে বর্তমান অপারেটর মোক্তার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে জোর করে নলকূপের টিনের বেড়া দিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বুরো আবাদ করতে না পারার দুশ্চিন্তা ঘিরে বসেছে চাষীদের মনে।
এবঢাপারে গভীর নলকূপটির বর্তমান অপারেটর মুক্তার জানান, আমার কাছে কেউ সেচে পানি নিতে আসেনি। তারা বিলে পানি নিতে চায়।
এবিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সমসের আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলছেন, আমরা কৃষকের মনোনীত অপারেটর নিয়োগ দিয়ে থাকি। তবে অপারেটরের কারনে যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Print [1]