ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

কোডিং এ ভুল হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর ফল স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হলেও বিকেল থেকে তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কোডিং এ গুরুতর ভুল হওয়ায় তা সংশোধনের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ে ফল প্রকাশ করা হবে এমন বার্তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ডেইলি নিউজ বাংলাকে জানান, এ বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চম শ্রেণিতে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এরমধ‍্যে ট‍্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার, যা আগে ছিল ২২ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর একযোগে সারা দেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ ও সময় ছিল দুই ঘণ্টা। এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় চার লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।