দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তামাকপাতা পোড়ানোর খরচ বাঁচাতে জ্বালানো হচ্ছে কাপড়ের ঝুট। প্রতি বিঘা জমির তামাকপাতা পোড়াতে ঝুট লাগছে ৩০ থেকে ৩৫ মন।কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব ঝুটের কালো ধোঁয়া ও তামাকের গন্ধে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগবালাই।
এমনিতেই তামাক উৎপাদনে বাংলাদেশের মানচিত্রে দৌলতপুর জ্বলজ্বল করে বহুবছর। এবছর কাগজের হিসাবে তামাক চাষ বেশ খানেকটা কমলেও বিপত্তি ঘটেছে অন্যখানে, তামাক চাষীরা তামাক পোড়ানোর যে বিশেষ ধরনের ভাটা ব্যাবহার করেন তার জ্বালানী হিসাবে গত কয়েকবছর যোগ হয়েছে পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত কাপড় (ঝুট)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দৌলতপুর এর আরএমও ডা.শামসুল আরেফীন সুলভ বলেন, এই ঝুট কাপড় খোলা জায়গায় ব্যাবহার করলে তা মারাত্মক ভাবে বায়ূ দুষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের বড় ধরনের নানান অসুখের ভয় থাকে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, হাপানি, হৃদরোগ সহ নানান জটিল ও কঠিন রোগের সম্ভাবনা থাকে।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে তামাক চাষ ও ঝুট পোড়ানো বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।
ভয়াবহ হলেও সত্যি, দৌলতপুরে লোকালয়ে অধিকাংশ এলাকায় মৌসুমে চলছে ঝুট পোড়ানো তামাকের ভাটা। বসত ঘরের কোল ঘেষে গড়েতুলেছে ঝুকিপুর্ণ তামাকের ভাটা। বাদ পড়েনি শিশুদের শিক্ষা কেন্দ্রের পাশও।
দিনের বেলায় রাস্তাজুড়ে পরিত্যক্ত কাপড় (ঝুট) ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও গাড়ি চালকদের। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
নির্দেশ থাকলেও মনিটরিং না থাকায় জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক তারের নীচে চলছে ঝুকিপূর্ণ তামাকের ভাটা। এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর জোনাল অফিসের বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কথাও তুলে ধরেন এলাকাবাসী।