তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু লড়াই সংগ্রামের বাংলাদেশ। মানুষ-মানুষে সম্প্রীতি বাড়াবে এটাই হলো সকল ধর্মের মর্মকথা। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন সকল ধর্মের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের বর্ণের মানুষ এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এই জনপদে কোন ধরনের ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সেটাকে আওয়ামী লীগ বরদাস্ত করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরের সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাচন্ডী মন্দিরে পাঁচদিন ৩২ প্রহর ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে এসব কথা বলেন আব্দুর রহমান। এ সময় শতশত হিন্দু নারী-পুরুষ ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, ধর্ম যার যার-উৎসব সবার। বর্তমান সরকারের আমলে যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারছেন। এটা একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সেটা সম্ভব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আব্দুর রহমান আরো বলেন, দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও সকল পর্যায়ের উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। দেশের সকল জায়গায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোয়ালমারীতে ১৯৯০ সালে এই মন্দির ভাংচুর করা হয়েছিলো, সেই সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিয়ে ডাকবাংলো চত্বরে আমি প্রতিবাদ সভা করেছিলাম। সেই সময় থেকেই আপনাদের পাশে আছি। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিয়ে আবারো আপনাদের ক্ষমতায় আনতে হবে।’ এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. জালাল উদ্দিন, সহপ্রচার সম্পাদক এনামুল হক, সদস্য আলি আকবর, জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, দাউদুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী রায়হান রকি, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পরশ শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মৌর্তুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান ফাহিম, সাধারণ সম্পাদক মিদুল, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবলু শিকদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য মদন কুমার সাহা, বাসুদেব কুমার সাহাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপস্থিত ছিলেন।