নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে রুখতে চৌধুরী পরিবারের সাথে আসুন আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীদের উদ্যেশে বললেন দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগ নভাপতি টোকেন চৌধুরী।
‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, রোববার (০৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া, খলিশাকুন্ডি ও আড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে বড়গাংদিয়া কলেজ মাঠে শান্তি সমাবেশ করেছে।
উক্ত শান্তি সমাবেশে বোয়ালিয়া ইউপি শাখার আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি আমিদুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ।
এসময় যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামাত দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা তাদের পুরাতন চরিত্র। যখনই বিএনপি-জামাত মাঠে নামে তখনই এদেশের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি এদেশের জনগণই বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ, যেখানেই বিএনপি-জামাত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে সেখানেই তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ। যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিপীড়িত, দুঃখী, নিম্নমধ্যবিত্ত, অস্বচ্ছল খেটেখাওয়া মানুষেরা শান্তির মুখ দেখছে, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ঠিক তখনই বিএনপি-জামাত নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা ও অপরাজনীতির উপর ভর করে তারা আমাদের সাধারণ মানুষকে আবারও শিকার বানানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ, তাই দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যুবলীগের কর্মী হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে এখন মাঠে থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, জনগণের পাশে থাকা। তারা যেন সাধারণ মানুষকে আর ভিকটিম বানাতে না পারে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে এদেশের খেটে খাওয়া, মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের পাশে থাকব। তিনি আরও বলেন, এদেশে একমাত্র প্রকৃত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আমরা যুবলীগ সেই পথ অনুসরণ করি। আপনারা তাদের সকল মিথ্যাচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকবেন, স্বোচ্চার থাকবেন এবং দলের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে সকলে একত্রিত হয়ে চৌধুরী পরিবারের সাথে কাজ করার আহŸান জানান।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা আজকে কেন শান্তি সমাবেশ করছি। এই শান্তি সমাবেশ দেশ ও জাতির কল্যাণে। আপনারা জানেন বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার মধ্য দিয়ে।এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিএনপি-জামাত ঘটিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ জঙ্গিমুক্ত, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। একারণেই বিএনপি-জামাতের কাছে তা ভাল লাগছে না। তারা আবারও মাঠে নেমেছে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘনের লক্ষ্যে। তারা জনগণের উপর আঘাত হানতে চায়। কিন্তু যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বেঁচে থাকতে বিএনপি-জামাতের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাদু মোল্লা, ফিলিপনগর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ, মথুরাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সরদার হাসেম উদ্দিন হাসু, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, উপজেলা আ.লীগের সদস্য মামুন কবিরাজ, পিয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল রানা বুলবুল, উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহেল মাসুদ সুইটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার রহমান বাচ্চু