ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

জলঢাকায় জলে ঢাকা সাত হাজার পরিবার

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় টানা অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে অকাল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ১৬ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক। সপ্তাহ জুড়ে টানা ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ইউনিয়ন গুলোর মানুষ পরেছে চরম দুর্ভোগে। বসতভিটায় পানি জমায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছে উচু ভিটায় বা বাধঁগুলোতে। হটাৎ অকাল বন্যায় আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। তলিয়ে গেছে ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১২০ হেক্টর জমির ফসল। টানা বৃষ্টি ও ব্যনায় সবচেয়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের। নিম্ম আয়ের মানুষরা পরেছে বিপাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শৌলমারী ইউনিয়নের বানপাড়া, চরভরট গোপালঝাড়, গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১,২ ও ৪ নং ওয়ার্ড ও কৈমারী ইউনিয়নের হারাগাছ বানসহ তিস্তা তীরবর্তী এই সব এলাকায় বুড়িতিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দুভোর্গে পরেছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষজন। এরই মধ্যে এসব দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্দোগে শুকনো খাবার বিরতণ করা হয়েছে।

শৌলমারী বান পাড়া এলাকার হামিদুর রহমান বলেন,অনেক কষ্টো করে গত বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠেছিলাম। হটাৎ এই অকাল বন্যায় সব কিছু উল্ট-পাল্ট হয়ে গেলো। এ বিষয় শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রানজিৎ কুমার রায় বলেন, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির পানি ও বুড়ি তিস্তার পানি হটাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষনে উপজেলার প্রায় ১২০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান জানান, দুর্গত এলাকা গুলো চিহ্নিত করে অসহায় পানি বন্দি মানুষদের পর্যায়ে ক্রমে সহয়তা করা হবে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অবস্থায় দুইটি ইউনিয়নে ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।