ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

কাউন্সিলে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংঘর্ষ আহত, ১২

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ ১০-১২ জনের আহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায় পূর্ব নির্ধারিত  সময় সূচি অনুযায়ী রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন হবার কথা। সুচি অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে সকাল ৯ টা থেকে নেতাকর্মীদের ভীর দেখা যায়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উপজেলার তিন জনকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়। সভার কর্যক্রম শুরুতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ১শত মটরগাড়ির বহর নিয়ে সভা স্থলে উপস্থিত হলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি , সাধারন সম্পাদক ও উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভা স্থলে নিয়ে যায়। সভায় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান স্লোগান দেয় ইউনিয়ন সভাপতি  ও সাধারন সম্পাদকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এই কথা শুনে উপজেলার সাধারন সম্পাদক হাফেজকে থামতে বলে এবং সভা স্থল থেকে চলে যেতে বলে । হাফিজ সভাস্থল থেকে যেতে না চাইলে সাধারন সম্পাদকের হুকুমে তার অনুসারিরা হাফেজকে মারধর করে এতে করে দু’গ্রুপের মধ্যে তুলকালাম কান্ড বাঁধে তাহাতে নারী সহ আহত ১২ জন। আহতদের মধ্যে  ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার গুরুতর আহত গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর লুৎফরকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উক্ত সভাস্থলে দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিয়ন্ত্রন করে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন রনগোপালদী ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইউনিয়নের অভিভাবক সে কি কারনে ১শত মটর গাড়ি নিয়ে সোডাউন দিয়ে আসলো তা জানিনা। তার উস্কানিতে সভায় মারধরের তান্ডব ঘটে। আমি সভাপতি তার সাথে আসা ছেলেরা যাদের চিনিনা তারা আমাকে মারধর করে, ইউনিয়ান মহিলা সভানেত্রি সহ সভায় আসা লোকদের মারধর করে এবং বাড়ির মধ্যে ডুকে ঘর ভাংচুর করে। । আমি জেলা আওয়ামীলীগের সাভাপতিকে জানিয়েছি।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের কারনে আজকের কমিটি গঠনের স্থানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সভানেত্রি,সহযোগি সংগঠনের প্রায় ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে সাধারন ও গুরুতর আহত করে, ঘর ও চেয়ার ভাংচুর করা হয়। সভাপতির মাধ্যমে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন সভাস্থলে আমি গিয়াছিলাম। স্বচ্ছ ও পরিছন্ন কমিটি হয় কিনা তা দেখা সংগঠনিক ভাবে আমার দায়িত্ব। উক্ত সভায় বহিরাগতের উপস্থিথিতি ছিলো যাদের আমি চিনিনা । ইউনিয়র আওয়ামীলীগের সভাপতির লোকদের মাঝে জগড়া হয়। সেখানে রনগোপালদী যুবলীগের নেতাকে গুরুতর আহত করে । তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। আমার সাথে যাওয়া নেতাকর্মীরা কোন মারধর করেনি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভপতি কাজী আলমগীর বলেন রনগোপালদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন । আমি তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো বাকী দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিল করার জন্য বলেছি।