বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় দৃশ্যমান কাজ করে প্রশংসায় ভাসছেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন। তিনি এই উপজেলায় যোগদান করার পর থানা সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ময়লা ডোবা জমি ভরাট করেন। ওই জমি ময়লা ডোবা থাকায় সেখানে মানুষজন যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো না। ভাষা দিবসে সবাই গরু হাটে জড়ো হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেন। উপজেলা প্রশাসন ডোবা ভরাট করে বৃক্ষরোপন করে একটি নান্দনিক বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ভরাট করা জমিতে গত ১৪ মার্চ ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ বৃক্ষ রোপন করেন।
সাংবাদিক ও শিক্ষক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাষা দিবসে সকলে গরু হাটা জড়ো হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেন। শহীদ মিনারের সামনে ময়লা ডোবা থাকায় সেখানে কেউ যেতে পারতো না। উপজেলা প্রশাসন ময়লা ডোবা ভরাট করে একটি নান্দনিক বাগান করার ব্যবস্থা করায় অনেক ভালো হয়েছে। এখন আর গরু হাটায় কাউকে জড়ো হতে হবে না।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. দাউদুজ্জামান দাউদ বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলেন বাংলাদেশ আ’লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমান এমপি সাবেক। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন শহীদ মিনারের সামনে ময়লা ডোবা ভরাট করে শহীদ মিনারের মৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলেছেন। এ ছাড়া ভাষা দিবসে গরু হাটা জড়ো হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে হতো। শহীদ মিনারের সামনে যাওয়া যেত না। এখন সামনে অনেক সুন্দর হয়েছে। এতো সুন্দর কাজ করার জন্য ইউএনও মো. মোশারেফ হোসাইনকে অনেক ধন্যবাদ জানায়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার জোহুরুল হক বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ময়লা ডোবা থাকায় দীর্ঘ বছর ধরে ভাষা দিবসে গরু হাটা জড়ো হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতাম। এই ময়লা ডোবা ভরাট করায় একটি নান্দনিক বাগান করা হচ্ছে। এখন শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যাবে। এই দৃশ্যমান কাজ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধাসহ বোয়ালমারীর সচেতন মহলের নজর কেড়েছেন।
Print [1]