বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালিয়া গ্রামে বৌ আনতে গিয়ে শালিস বৈঠকে জামাই ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলার পর এজাহারনামীয় তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। মামলা নং ৩। এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুতালিয়া গ্রামের চুংখু মোল্যার ছেলে নাঈম একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের (৪০) মেয়ে স্বর্না বেগমকে বিয়ে করে। দুই বছরের সংসারে তাদের শাওন নামের ৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীর সাথে তার স্ত্রী স্বর্নার মনোমালিন্য হয়ে ৩ মাস আগে স্বর্না তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। তার স্বামী কয়েকবার আনতে গেলে স্বর্নার বাবা মা তাকে স্বামীর সাথে আসতে দেয় না। দুই পরিবারের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করার কথা বলে ৩ মার্চ বিকেলে নাঈম, তার দুই ভাই, তার মা ও বাবাকে জামাল মোল্যার বাড়ির উঠানে শালিসে বসে। শালিস চলাকালিন সময় আমিনুল ইসলাম হুকুম দিয়ে তার জামাইসহ জামাইর পরিবারের উপরে হামলা করে। হামলার সময় জামাই নাঈমের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে জখম করে। নাঈমের মা হাসি বেগমকে পায়ের ঘিরের নিচেই কোপ দিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে নাঈমকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করে। পরে সেখান থেকে উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক শেখ বলেন, জামাইকে ও তার পরিবারকে মারধর এবং কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় নাঈমের মা হাসি বেগম বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলার পর এজাহারনামীয় তিন নং আসামি মো. রফিক মোল্যা (৫০), ৫নং আসামি মানিক মোল্যা (৪০) ও ৬নং আসামি জামাল মোল্যাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।