কাজী মোস্তফা রুমি,স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জননেতা আবদুল মান্নানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের ৪ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করেন তিনি। জননেতা আব্দুল মান্নান এর মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন ও ৯৬’র জনতার মঞ্চ আন্দোলনের অগ্রসৈনিক,তৃণমূলের প্রাণের স্পন্দন ও টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু। এ বিষয়ে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর সাথে গণমাধ্যমের কথা হয়। তিনি গণমাধ্যমকে জানান- জননেতা আব্দুল মান্নান মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। মরহুম আবদুল মান্নান টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থেকে শুরু করে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় সভানেত্রীর অবর্তমানে তিনি বহুবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬ দফা আন্দোলনের সময়ে বঙ্গবন্ধুসহ সব নেতাদের কারাবরণ অবস্থায় দলীয় সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল মান্নান নেতৃত্ব দেন। আবদুল মান্নান জেনারেল আইয়ুব খানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ১৯ এপ্রিল থেকে তিনি মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্ত বিজয় অবদি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের মুখপাত্র আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সম্পাদিত জয় বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনাকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণের প্রস্তাব নিয়ে তিনিই কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তার সুপারিশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতাল, মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, আতিয়া মহিলা কলেজসহ অসংখ্য সমাজসেবা মূলক কাজ করেছেন। আজকে তাঁর এই মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগ ও আমার নির্বাচনী আসন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর দেলদুয়ার) এর সমগ্র জনগণের পক্ষ হতে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। সেই সাথে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।