
মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউইনয়নের মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী আফরিন(১৪) বসত ঘড়ের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যার ঘটনা ঘটে।
আলীপুর ইউনিয়নের আলীপুর ০৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ আলামীন তালুকদারের মেয়ে আফরিন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় আফরিন প্রতিদিনের ন্যায় আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে কখোন বাসায় আসে কেহই জানেনা। তার মা ঘরের মধ্যে ডুকে দেখে আফরিন ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। তার ডাকচিৎকার শুনে লোক জন আসে। বাঁচাতে ওড়ানা কেঁটে নামাইয়া দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাদিয়া খায়ের মৃত্যু ঘোষনা করেন।
আফরিনের মা মোসাঃ ফাতেমা বলেন আমার মেয়ে(আফরিন) প্রতিদিনের মতো সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে ঘরে কখোন আসে আমি পাশে বাড়িতে থাকায় দেখিনি। আমি ঘরে মধ্যে ডুকে দেখি আফরিন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। ডাকচিৎকার করলে লোকজন এসে নামায় তারপর দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসি। গলায় ফাঁস দেয়ার কোন কারন দেখিনা । কি করানে গলায় ফাঁস দিছে বুজতে পারছিনা।
আফরিনের বাবা মোঃ আলামীন তালুকদার বলেন মেয়ে পড়–শুনায় ভালো। সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। লোক মারফত শুনি গলায় ফাঁস দিছে। কেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করবে কোন কারন দেখিনা।
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সাদিয়া খায়ের বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আফরিন মারা যায়। আফরিনের মরদেহ দশমিনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবিদ গোলদার বলেন ঘটনা শুনে হাসপাতালে গিয়ে আফরিনের বাব-মাকে প্রাথমিক জিঞ্জাসায় কোন কারন জানা যায়নি। আফরিনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
থান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, আফরিনের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর কারন জানা যায়নি। দশমনিা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে।