ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

জলমগ্ন কৃষকের স্বপ্ন ১৩৫৬ হেক্টর জমির রোপা আমনের ক্ষতির আশংকা দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে এর আগে বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার পর কৃষকরা যখন মাঠ ভরা সবুজ ধান ক্ষেত দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ও স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন ঠিক এমন সময় গত সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা তাদের স্বপ্নকে দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করেছে। জমির আমন ও রোপা ধান, সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমেছে, তবে বুধবার সকাল থেকে তা স্থির রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাইপাস সড়কের দু’পাশে, পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড মিস্ত্রিপাড়া এবং বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আমন ধান ক্ষেত পানিতে পুরোটাই নিমজ্জিত। আবার অনেক ধান ক্ষেতের গলায় গলায় পানি।

এ সময়ে আমন ধান কাইচ থোর অবস্থায় থাকায় প্রকৃত পক্ষে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, গলা পানিতে এভাবে ডুবে থাকলে কাইচ থোর ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে। কিন্তু আকস্মিক এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলমগ্ন হওয়ায় ১ হাজার ৩৫৬ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে সদরে ৪৫০, সৈয়দপুরে ৩৫০,ডোমারে ৫০, ডিমলায় ২১০, জলঢাকায় ১২০ এবং কিশোরগঞ্জে ১৭৬ হেক্টর জমির ধান জলমগ্ন হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, আপনারা যেটাকে নষ্ট বলছেন, আমরা সেটাকে পানিতে নিমজ্জিত বলছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষককে ধান গাছ থেকে কাদা ধুয়ে দেয়ার জন্য শুধু পানি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি।

কমপক্ষে ১০ দিন পর ধান গাছ যখন বসে যাবে, তখন কৃষকদের বিঘা প্রতি ৮ কেজি ইউরিয়া ও ৮ কেজি পটাশ সার দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি প্রসঙ্গত এর আগে গত জুলায় মাসে জেলায় মোট ২৬ দশমিক ৮ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।