ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

দৌলতপুরের হিসনা নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড!

ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হিসনা নদীর পুরোনো রূপ ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয় নদীটি। খনন হওয়া ৮ কিলোমিটার এলাকার নদীপাড়ের মানুষ জানাচ্ছেন নতুন বিপত্তির কথা। নদী খননের পর সেই মাটি দিয়ে পাড় বাঁধা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে দৌলতপুরের হিসনা নদীপাড়ের মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি হিসনা পাড়ের মাটি বিক্রি শুরু হলে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এর প্রতিবাদে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো সমাধান পাননি এলাকাবাসী। এমনকি, থামেনি নদীপাড়ের মাটি বিক্রির উৎসব। উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামের আনারুল ঠাকুর বলেন, নদীর উভয় পাড় মাটি দিয়ে বেঁধে দেবার পর এই মাটি আবার টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। যার আমরা কিছুই জানিনা।
একই গ্রামের টুকু শেখ জানান, হিসনা খননে কৃষকদের উপকার হয়েছে। হিসনার পাড় আমরা এলাকাবাসী সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এক বছর পর হঠাৎ এসে এই মাটি কাটা হলে নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং নদীপাড়ের কৃষি কাজ ব্যাহত হবে।
এদিকে এই মাটি স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই অশান্ত হয়ে উঠছে হিসনার দুই পাড়। আদালত এবং থানা পুলিশে গড়িয়েছে সেই সব ঘটনা। দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জমান মুকুল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড যেহেতু মাটি বিক্রির প্রয়োজন মনে করছে সেহেতু আমাদের জায়গা থেকে কিছু করার নেই। তবে, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি আমলে নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর অনেকে মাটি স্থানান্তর চাই বলে জানিয়েছেন। এজন্য কিছু কিছু জায়গার মাটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে, মাটি নদীর পাড়ে থাকলেও নদী বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সমস্যা নাই। এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য নদী খনন করা হয়েছে। যদি এলাকাবাসীর অসুবিধা হয় তাহলে আমরা মাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব