মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনায় সন্ত্রসী হামলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহদর দুই ভাই সহ গুরুতর আহত চার।
উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের নিজাবাদ গয়নাঘাট এলাকায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮ টায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দশমিনা উপজেলায় সাধারন জন মনে আতংক বিরাজ করছে।
থানা সূত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ইযাসিন, আরাফাত, ইব্রাহিম, ইয়াসি-২ চার বন্ধু আলীপুর ইউনিয়ন থেকে দশমিনা সদরে আসার পথে নিজাবাদ গয়নাঘাট এলাকায় রাস্তার উপর পূর্বে জের ধরে সোহাগ প্যাদা, সহ ২০-২৫জন গতিরোধ করে দেশীয় অস্র(বগি, রামদা, চাপাতি) দিয়ে উপর্যোপুরি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকলে স্থানীয় লোক জন তাদের দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মইনুল ইসলাম ইয়াসিন ও আরাফাতের অবস্থা আশংখা দেখে বরিশাল শে-রে-ই বাংলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠায়। ইব্রাহিম ও ইয়াসিনের শরীরে সাধারন জখম থাকায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এফবিতে ভাইরাল হলে নড়েচরে বসে দশমিনা থানা পুলিশ প্রশাসন। ১৩ এপ্রিল ইয়াসিন ও আরাফাতের বাবা মোঃ মাহবুল মুন্সি বাদী হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে ও অঞ্জাত নামা ২০-২৫ জনের নামে এজাহার দায়ের করলে ঐ রাতে দশমনিা থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
ইয়াসিন ও আরাফাতের বাবা মাহবুল মুন্সি আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন, আমার দুই জমোজ ছেলে সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার কলেজের এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কলেজে কোন সমস্য থাকতে পারে তাই বলে এ ভাবে মানুষকে মানুষ কোপায়। কি দোষ ছিলো আমার ছেলেদের। আমি অভিভাবক হয়ে জানতেও পারিনি। ১১ এপ্রিল বন্ধুদের সাথে আলীপুর ঘুরতে যায় রাতে দশমিনা আসার পথে সাবেক ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক বর্তমানে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ প্যাদা, কামাল(ক্যাডার কামাল), আরিফ, কবির(বোমা কবির), শান্ত সহ ২০ জন আমার ছেলেকে সহ ৪ জনকে কুপিয়েছে। আমার ছোট ছেলে ইয়াছিনকে ১২-১৩ টি কোপ দিয়েছে দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসা হয়নি বরিশাল হাসপাতালে ৭০-৭৫ টি সেলাই লাগছে বর্তমান অবস্থা বেঁচে না থাকার মতো। ইয়াছিনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে বাঁচবে কি না তা জানিনা। আমি এই সন্ত্রাসী বর্বরতা হামলার বিচার চাই।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহেদী হাসান বলেন মাহবুল মুন্সির লিখিত এজাহার পেয়েছি । ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পেরন করা হয়েছে। বাকী আসমীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।