ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দৌলতপুরে বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রাখছেন এজাজ আহমেদ মামুন

ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন। ইচ্ছাশক্তি থাকলেই যে, এলাকার উন্নয়নের জন্য কিছু করা যায়, এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে মানষের ভালবাসা অর্জন করে এক সময় মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হয় সেটা প্রমাণ করেছেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন তিনি, সেই সাথে এলাকার সমস্যাগুলি চিন্থিত করে তা নিরসনের চেষ্টা, আপামর মানুষের আপদ বিপদে পাশে দাঁড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন তিনি। যেমনটি ছিলেন তার বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ। ১৯৯০ সালে তার বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। তারপর ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমৃত্যু নিঃস্বার্থভাবে দৌলতপুর উপজেলার মানুষের সেবা করে গিয়েছেন তিনি। এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রেখে গেছেন অসামান্য ভুমিকা। তাঁর অবদান কে উপজেলার মানুষ শ্রদ্ধাভরে মনে রেখেছেন। বাবার হাত ধরে, বাবার দেখানো পথে অগ্রসর হচ্ছেন, আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর কনিষ্ঠ পুত্র অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। আইন পেশা ছেড়ে বাবার আদর্শকে লালন করে মানুষের সেবায় ব্রত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের দলীয় সম্মেলনে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন । এরপর শুরু হয় করোনা মহামারি। নিজের সুরক্ষাকে তুচ্ছ করে তিনি উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা, নগদ সহায়তা সহ বিভিন্নভাবে উপজেলাবাসীর পাশে দাড়ান। এক পর্যায়ে তিনি নিজেও করোনাক্রান্ত হন। ৬৬২ বর্গ কিলোমিটার ভ’-খন্ডের প্রায় ৬ লক্ষাধিক জনসংখ্যার আশা -ভরসা বা আস্থার প্রতীক হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার উদ্যোগে দৌলতপুরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ, মাদকের অপব্যবহার রোধ, সড়ক নিরাপত্তা নিশিচত সহ নানা বিষয়ে রোড‘শো অনুষ্ঠিত হয়। যা উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর থেকে উপজেলার ২১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষান মান উন্নয়ন, ও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এলক্ষ্যে দুরবর্তী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল, প্রতিব›িদ্ধ শিক্ষার্থীদের হুইল চেয়ার, শিক্ষার্থীদের টিফিন বাটি, মিড্ ডে মিল, স্কুল ড্রেস এমনকি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ বিতরণ করে শিক্ষাথী ঝরে পড়া রোধে সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য তার প্রয়াত বাবার নামে ‘আফাজ উদ্দিন আহমেদ“ শিক্ষা বৃত্তি চালু করে প্রতিযোগীতামুলক মেধা যাচাইয়ের দ্বার উন্মোচন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষায় এ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং অক্টোবর মাসে খুলনা বিভাগীয় শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ গত মার্চে তিনি দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা সজাগ থাকায় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন এজাজ আহমেদ মামুন কে আলোর ‘ফেরিওয়ালা“ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বাবার শুণ্যতা পুরণে অগ্রসর হচ্ছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোদাচ্ছির হোসেন জানান, আমাদেও প্রয়াত নেতা আফাজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন, “রাজনৈতিক বটবৃক্ষ“ তার ছায়াতলে আমরা রাজনীতি করে এসেছি। তার যোগ্য সন্তান এজাজ আহমেদ মামুন তাঁর কর্মকান্ড দিয়ে তার পিতার অভাবকে কিছুটা পুরণ করতে সমর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের নেতা জনাব এজাজ আহমেদ মামুন কে যথাযথ মুল্যায়ন করবেন। রামকৃঞ্চপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাজ উদ্দিন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্বচ্ছ, যোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মানুষ হিসাবে এজাজ আহমেদ মামুন ভাইকে এলাকাব মানুষের পছন্দ করছেন। এজাজ আহমেদ মামুন জানান, বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর মত আমিও দৌলতপুরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলীয় প্রয়োজনে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি সেভাবেই কাজ করে যাব