দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী থেকে অপহ্নত দুই জেলেকে উদ্ধার ও তিন অপহ্নরণকারীকে গ্রেফতার করেছে দশমিনা থানা পুলিশ ও দশমিনা- কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী। এ সময় অপহ্নরণকারীদের ব্যবহারিত ১ টি বগি দা উদ্ধার করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় উপজেলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী অফিসে প্রেমব্রিফিং এর মাধ্যমে পুলিশ সুপার, নৌ-পুলিশ,বরিশাল অঞ্চল কপিল উদ্দিন নিশ্চিত করেন।
তিনি প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানান গত ১৯ এপ্রিল মধ্য রাতে দশমিনা উপজেলার সদর দশমিনা ইউনিয়নের হাজিরহাট গ্রামের তালেবালী মেলকারের ছেলে(৫৫) ও সেকান্দার আলীর ছেলে লোকমান(৫২) কে তেঁতুলিয়া নদী থেকে অপহ্নরন করে নিয়ে যায়। ২০ এপ্রিল সকালে লোকমানের ফোন দিয়ে তার ছেলে কবিরের কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে । পরে ৮০ হাজার টাকা সমজতা হয় এবং কবিরকে একটি বিকাশ নাম্বার দেয়। কবির বিষয়টি দশমিনা উপজেলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আনিচুর রহমানকে জানালে তিনি দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভহিত করেন। থানা ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীর দিকনির্দেশনায় কবির বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দর লঞ্চ ঘাট এলাকায় বিকাশ নাম্বারে টাকা দিতে বললে কবির ঐ বিকাশ নাম্বারে ১৯৩০০ টাকা দেয়। ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার জামাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ মোক্তার হাওলাদার ঐ টাকা বিকাশের দোকানে আনতে গেলে তাকে দশমিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী, থানা পুলিশ ও কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা আটক করে । পরে তার তথ্য মতে স্প্রিটবোর্ড যোগে চন্দ্রদ্বিপ এলাকা থেকে অপহ্নত দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহ্নরনকারী অপর দুইজন ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার হারুন হাওলাদারের ছেলে শাকিল ও বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের আকন এর ছেলে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন অপহ্নরণকারী ৬ জনের মধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় মামলা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেস্টা চলোমান।