ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ এর সফলতার চার বছর

দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন এর সফলতার চার বছর

ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন সফলতার সঙ্গে চার বছরঅতিক্রম করেছেন। তিনি শুধু একজন চেয়ারম্যানই নন তিনি একজন সফল রাজনৈতিক সংগঠক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। জীবন যৌবনের পুরোটা সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদের সাথে থেকে আওয়ামী লীগ করে এসেছেন। তিনি বর্তমানে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।

তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও রাজনীতিই তাঁর মূল পেশা এবং নেশা। ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মনে প্রাণে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে তিনি টিকে আছেন সকল বয়সি মানুষের হৃদয়ে।

এ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মৃত আফাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স, এল এল এম ডিগ্রি অর্জন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
২০১৯ সালে থেকে দৌলতপুর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দৌলতপুর উপজেলা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলার মোট আয়তন ৪৬৮.৭৬ বর্গ কি.মি. এবং লোক সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ।

তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই উপজেলার ২১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষান মান উন্নয়ন, ও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এলক্ষ্যে দুরবর্তী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হুইল চেয়ার, শিক্ষার্থীদের টিফিন বাটি, মিড্ ডে মিল, স্কুল ড্রেস এমনকি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ বিতরণ করে শিক্ষাথী ঝরে পড়া রোধে সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য তার প্রয়াত বাবার নামে ‘আফাজ উদ্দিন আহমেদ“ শিক্ষা বৃত্তি চালু করে প্রতিযোগিতামূলক মেধা যাচাইয়ের দ্বার উন্মোচন করেছেন।

প্রাথমিক শিক্ষায় এ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি গত সেপ্টেম্বর ২০২২-এ কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ঐ বছর অক্টোবর মাসে খুলনা বিভাগীয় শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ গত মার্চে তিনি দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হন।
তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা সজাগ থাকায় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন এজাজ আহমেদ মামুন কে আলোর ‘ফেরিওয়ালা“ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
বয়সে তরুন এই নেতা শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বাবার শুণ্যতা পুরণে অগ্রসর হচ্ছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও করনা কালিন সময়ে সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে শক্রিয় ভুমিকা অগ্রভুমিকা পালন করেছেন এই তরুন রাজনীতিবিদ।

এই উন্নয়ন বরাদ্দ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে এ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন বলেন, বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর মত আমিও দৌলতপুরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্ব পাবার চার বছরে কি করেছি তা দৌলতপুরবাসী দেখেছে। আশাকরি আগামীতেও দৌলতপুরের মানুষ আমাকে এভাবেই সহযোগীতা করবে। রুপকল্প ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত, সার্বজনিন প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে উন্নত এক অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তারই আদর্শের সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রের দেওয়া উন্নয়ন বরাদ্দের শতভাগ কাজ করে উপজেলার যোগাযোগ, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায়। সর্বোপরি যতদিন শারীরিক সক্ষমতা আছে, ততদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান তিনি।