দৌলতপুরে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী
রনি আহমেদ : জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে থেকেই মোকাবেলা করবো। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন কোনভাবেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দুর্বল করতে পারবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে অতীতেও যেভাবে কাজ করে গেছি। আগামীতেও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। সোমবার বিকেল ৫ টায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী।
এর আগে উপজেলার আল্লার দর্গা বাজারে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে প্রায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী। এ সময় নেতাকর্মীদের ঢল নামে সমাবেশ স্থলে। সাধারণ জনগণের ভাষ্যমতে দৌলতপুরে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এই সমাবেশটিতে সর্বোচ্চ লোক সমগম হয়েছে বলে ধারণা তাদের। তারা বলেন এটি একমাত্রই টোকেন চৌধুরীর দ্বারা সম্ভব। কারণ দৌলতপুরে তিনি একমাত্র ব্যক্তি যে এরকম ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে।
মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল হালসানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা যান মহম্মদ, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম, হাফিজুর দেওয়ান, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন কবিরাজ, উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হেল মাসুদ সুইট প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন বিশ্ব মানবতার বাতিঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দাতা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও বক্তারা তাদের বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপির আগুন সন্ত্রাসীরা যদি কোন রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের রাজপথেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য কালে নেতাকর্মীরা বলেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে দৌলতপুরের আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হলে টোকেন চৌধুরী ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই আগামী নির্বাচনে চৌধুরী পরিবারকেই নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনীত করে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আরো সংগঠিত করবেন।