মোহনপুরের আলোচিত শিশু আয়েশা হত্যার দায় স্বীকার করলো মা!!
রাজশাহী ব্যুরো: মোহনপুরের আলোচিত ৩৮ দিনের শিশু আয়েশা হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করেছে শিশুটির মা তানিয়া খাতুন। শনিবার (২৭ মে) বিকালে উপজেলার ৪নং মৌগাছী ইউনিয়ন এলাকার বকপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামে মাত্র ৩৮ দিনের শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় নিজ বাড়ির গরুর গোয়াল ঘরের নাইন্দ বা চাড়ির মধ্য থেকে। এরপর চারিদিকে আলোচনা সমালোচনা শরু হয়, কে করেছে এমন নির্মম কাজ? পরে মোহনপুর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিশুটির সুরতহাল ও আলামত দেখে রাতেই জিজ্ঞেসাবাদের জন্য শিশুটির বাবা- মা, দাদা-দাদীকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে পৃথক পৃথক জিজ্ঞেসাবাদ করলে হত্যার দায় স্বীকার নেয় শিশুটির মা তানিয়া খাতুন। এরপর শিশুটির পিতা আলামিন হোসেন বাদি হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় একজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরে মোহনপুর থানা পুলিশ তানিয়াকে আদালতে হাজির করে জেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ মোহনপুর আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এজাহার সুত্রে জানাযায়, বাদি আলামিন হোসেন বকপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় সে একজন দিনমুজুর (রাজমিস্ত্রীর লেবার)। সে প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও কাজে যায় এবং দুপুরে কাজ শেষ করে ফিরে আসেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে শিশু আয়েশাকে নিয়ে ঘুমায়। বিকাল ৪.৩০ টার দিকে বাড়ির পাশে জৈনক খোকনের পুকুর পাহারার জন্য পুকুরপাড়ে যায় এবং তার বাবা মা পুকুর পাড়ে উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুক্ষন পর পাশের বাড়ির রোজিনার বাকচিৎকারে ছুটে এসে দেখে যে, তার কন্যা শিশুটি মৃত্যুবরণ করেছে এবং রোজিনা কোলে নিয়ে আছেন। হত্যার বিষয়ে পিতা আলামিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ২০১৭ সালে বিয়ে করি। ১বছর পর আমাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম আলিফ। এরপর ২৩ সালের এপ্রিলের ২০ তারিখে এই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছিল। তার স্ত্রী’র মানষিক কোন সমস্যা ছিল কিনা জানতে চাইলে আলামিন বলে, তানিয়ার আগে থেকে জ্বীন বা ভুতের সমস্যা ছিল। কেন এমন ঘটিয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা কেউ জানিনা কেন এমন করেছে। আইন আছে, আইন বের করবে কেন হত্যা করেছে। পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শম্ভুচাঁদ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার দিনে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদেরকে পৃথক পৃথক জিজ্ঞেসাবাদ করলে শিশুটির মা হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে শিশুটির পিতা আলামিন বাদি হয়ে মামলা করে। কেন হত্যা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে, তদন্তের স্বার্থে কোন তথ্য দেওয়া যাবেনা। আপনি আমাদের মিডিয়াসেলে কথা বলেন।