ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর বিশেষ বার্তা

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর বিশেষ বার্তা

কাজী মোস্তফা রুমি,স্টাফ রিপোর্টার: আজ ঐতিহাসিক ৭ই জুন, ছয় দফা দিবস। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য প্রতিবাদী আত্মত্যাগে ভাস্বর একটি দিন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। এই দিনটি বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত করে। আর এ ছয় দফার মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয় দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ টাঙ্গাইলের গর্ব, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু গণমাধ্যমকে বলেন- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ। ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে খ্যাত। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা দাবির পক্ষে গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়, যা এগিয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার সমর্থনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে গুলি চালায় পুলিশ ও ইপিআর। এতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর ছয় দফার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমেই শেষ হয় আন্দোলনের পরিসমাপ্তি। আজকে এই ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে আমি নাগরপুর দেলদুয়ারবাসীর পক্ষ হতে এবং টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আজকের এই দিনে দেশের প্রতি তাদের এই ত্যাগকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দেশ গঠনে সকলে মিলে একযোগে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।