ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

দশমিনায় সরকারি রাস্তা কেঁটে ইউপি সদস্যের পাঁকা প্রাচীর

দশমিনায় সরকারি রাস্তা কেঁটে ইউপি সদস্যের পাঁকা প্রাচীর [1]

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনাউপজেলায় জনসাধারনের চলাচলের সরকারি রাস্তা কেঁটে পাকা বাউন্ডারির দেয়াল নির্মান করছে এক ইউপি সদস্য। এতে স্থানীয় জনগন বাঁধা দেয়ায় হুমকিধামকি দিয়ে তারিয়ে দেয় ইউপি সদস্য ও তার লোক জন। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার দক্ষিন লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যান দক্ষিন লক্ষিপুর গ্রামের এই রাস্তাটি দিয়ে এলাকার লোক জন দীর্ঘদিন চলাচল করে আসছে। রাস্তাটি বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নে পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করা হয়। ০৪নং দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের ০৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপন কর্মকার এর ছোট বোন বরিশাল নিবাসি তিনি ওই রাস্তার পাশে পূর্বে জমি কবলা করে। তিনি বরিশাল স্বামীর বাড়ি থাকেন। গত মঙ্গলবার ভোর রাতে রিপন কর্মকার ২৫-৩০ জন রাজমেস্ত্রী-লেভার নিয়ে জনচলাচলের সরকারি রাস্তার কেঁটে বেইচ তৈরি করে। স্থানীয় লোক জন বাঁধা দিলে রিপন কর্মকার বলেন এরাস্তা আমার বোন কিনছে আপনাদের হাটতে দেই এটাই বেশি। এ বিষয়ে এলাকার লোক জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
ঐ এলাকার বাসিন্দা ফোরকান,আবদুল লতিফ,সবুজ হোসেন এই রাস্তা দিয়ে আমরা দশমিনা সদরের সাথে বিভিন্ন সময় প্রায় ১০-১৫ হাজার লোক ও স্কুল, কলেজ, মহিলা কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করি রিপন কর্মকার একজন জন প্রতিনিধি(বর্তমান ০৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার) হয়ে সরকারি রাস্তা কেঁটে বোনের জমি দাবি করে বাউন্ডারি প্রাচির নির্মান করে এটা একজন প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক হয়ে পারেনা। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে এলাকার লোকজন অভিযোগ দিয়েছি ।
রিপন কর্মকার বলেন ওই জমি একাধিক বার স্থানীয় সার্ভেয়ার লিয়ারকে দিয়ে মাপজোপ করিয়েছি রাস্তার পরেও জমি আছে। রাস্তা আমার বোনের জমির মধ্যে। টাকাদিয়ে জমি কিনছি। কাজতো করবোই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন সরকারি রাস্তা কেঁটে বাউন্ডারি প্রাচির নির্মান করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।