ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এবার নওগাঁয় প্রায় ৭লাখ কোরবানি পশু প্রস্তুত, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা কেনাবেচার আশা

এবার নওগাঁয় প্রায় ৭লাখ কোরবানি পশু প্রস্তুত, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা কেনাবেচার আশা

মোহাম্মদ আককাস আলী : ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার নওগাঁয় প্রায় ৭ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। শেষ সময়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। এ বছর গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় বাড়তি টাকা গুণতে হয়েছে খামারিদের। তাই পশুও বাড়তি দামে বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তারা।
জেলায় এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাবে বিভিন্ন জেলায়। এ বছর জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু বেচাকেনার আশা করছেন খামারিরা।
নওগাঁ সদরের খামারি আব্দুল মজিদ বলেন, তার খামারে রয়েছে প্রায় ২১৭টি দেশি ষাঁড়, হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু। এরমধ্যে কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন ১৪৪টি। বাকিগুলো দুগ্ধবতী এবং বাছুর।
খামারি নজরুল ইসলাম বলেন, গবাদিপশু পালন ও মৎস্য চাষের ওপর যুব উন্নয়ন থেকে ১৯৯৬ সালে ১৫ দিন এবং ১৯৯৮ সালে ১ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কোরবানির ঈদের জন্য এ বছর ১৪৪টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি গরু ৮০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে। এরইমধ্যে খামার থেকে প্রায় অর্ধেক গরু বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে সব গরু বিক্রি হওয়ার আশা করছি।
এবার খরচ বাদে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লাভের আশা এ খামারির।
জেলার ধামইরহাট উপজেলা সদরের টিএনটি মোড়ের খামারি আহসান হাবিব আদর বলেন, তার খামারে ১৫টি গরু আছে। এরমধ্যে ১২টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। এ বছর দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পশু লালন-পালন করতে খরচ পড়েছে বেশি। গত বছরের তুলনায় দানাদার খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এখন দাম ভালো পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, জেলায় ৩৩ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ বিভিন্ন জাতের পশু লালন-পালন করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জেলায় প্রায় ৩ লাখ ২৯ হাজার পশু জবাই হবে। অতিরিক্ত পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাবে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তিনি বলেন, খামারিরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশুগুলো লালন-পালন করেছেন। বেচাকেনা জমে ওঠেছে। জেলার বাইরে থেকেও ব্যবসায়ীরা পশু কিনতে আসছেন।