ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

বোয়ালমারীতে বিএনপির কর্মীসভায় দুই পক্ষের বাকবিন্ডাতা পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

বোয়ালমারীতে বিএনপির কর্মীসভায় দুই পক্ষের বাকবিন্ডাতা পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শুক্রবার (২৩.০৬.২৩) অনুষ্ঠিত বিএনপির কর্মী সমাবেশে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপের কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছুঁড়ার ঘটনা ঘটে। পরে খুবই সংক্ষিপ্তকারে বিএনপি সমাবেশ শেষ করে। জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসদরের পাঞ্জেরী মাদ্রাসা ও হেফজখানা মাঠে সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কর্মীসভার আয়োজন করে। সকাল সাড়ে দশটায় কর্মী সমাবেশ শুরু হলে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর নতুন কমিটি ও মঞ্চে থাকার জন্য নাম প্রস্তাব করলে শাহ ঝাফর ও খন্দকার নাসিরুল ইসলামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে পুলিশ গিয়ে সমাবেশ না করার অনুরোধ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বিধায় পুলিশ বিএনপিকে সমাবেশ না করার অনুরোধ জানায়। পুলিশ নিষেধ করায় সামবেশে উপস্থিত কর্মীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ শান্ত হলে ১৫ মিনিটের মধ্যে বিএনপি সমাবেশ শেষ করে। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিনের সঞ্চলনায় কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর বিভাগীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান (মাশুক) ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ। তবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামচুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, পুলিশের বাধায় তাদের কর্মী সমাবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় কোন নেতারা কোন বক্তব্য দিতে পারেনি। জেলার কয়েকজন নেতা এবং কেন্দ্রী কমিটির দুইএকজন সামান্য কথা বলেছেন। বিএনপির মধ্যে কোন হট্টগোল বা কাতবিতান্ডার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের উপজেলা পৌর কমিটি করা হয়নি। পুরাতন কমিটি দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সে জন্য কি ভাবে, কাদেরকে নেতৃত্বে আনলে সংগঠন শক্তিশালী হতে পারে, কিভাবে আগামীতে কমিটি গঠন করা যেতে পারে এ বিষয় নিয়েই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয় কিন্তু পুলিশ উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর এশারায় সমাবেশে বাধা দেয়। আমাদের বিএনপির ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কিছু লোক , যারা চাই না বোয়ালমারীতে বিএনপি শক্তিশালী হোক তারা পুলিশকে দিয়ে এই ন্যাক্কার জনক হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ বাধা দিলেও সল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা সমাবেশ করতে পেরেছি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে কর্মী সমাবেশ করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, পাশেই তাদের অফিস এবং প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচী রয়েছে সে কারনে বিএনপিকে অনুরোধ করা হয় আজকের দিনটা বাদ দিয়ে অন্য কোন দিনে সমাবেশ করার জন্য। বিএনপির মধ্যে এমনি শক্তিশালী দুটি গ্রুপ রয়েছে। প্যান্ডেলের ভিতরে কিছু লোক রয়েছে আবার বাহিরেও অনেক লোক রয়েছে। আমাদের পুলিশ গিয়ে আজ (২৩ জুন) সমাবেশ না করার অনুরোধ করে। তখন প্যান্ডেলের বাইরে কলেজের দিক থেকে খন্দকার নাসিরের লোকজন পুলিশের উপরে আক্রমন করে। তখন পুলিশও তাদেরকে ধাওয়া দেয়। তবে কোন পক্ষের কেউ আহত হয়নি।