বোয়ালমারীতে গ্রাম্য দলাদলির জেরে কৃষককে কুপিয়ে আহত
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বেলজানী গ্রামে রিপ্পা মোল্যা (১৯) নামের এক কৃষককে সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রিপ্পা পেশায় কৃষক। এলাকা সূত্রে জানা যায়, বেলজানী গ্রামের শাহিন প্রফেসর ও আলাউদ্দিন মেম্বারের মধ্যে আধিপত্র বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সন্ধ্যায় বেলজানী গ্রামের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহিদুল মোল্যার ছেলে রিপ্পা মোল্যা খরসূতি বাজার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে খরসূতি বঙ্গবন্ধু কলেজের পিছনে পৌঁছালে শাহিন গ্রুপের লায়েব, সোহেল, রাজিবসহ ৩০-৪০ জন তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। তাকে আশ পাশের লোকজন দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই ফরিদপুর পাঠানো হয়। আলাউদ্দিন মেম্বার বলেন, গ্রাম্য দলাদলির কারনে শাহিন গ্রুপের লোকজন সোমবার সন্ধ্যায় রিপ্পা বাড়ি ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু কলেজের পিছনে পৌছালে তাকে কুপিয়ে আহত করে। রিপ্পা বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসেছিল। তিনি আরো বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শাহিন প্রফেসর বলেন, আমাকে এর আগে মেরে পঙ্গ বানিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আমি চলতে পারি না। শুনেছি রিপ্পা আমাদের গ্রামে চুরি করতে এসেছিল। লোকজন তাকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে অন্য গ্রামে চলে যায়। সেখানে তাকে কে বা কারা মারছে তা আমার জানা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এমএম নাহিদ আল রাকিব বলেন, নিসপা মোল্যার শরীরের অনেক জায়গায় কাটার দাগ রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই ফরিদপুর পাছানো হয়েছে। বোয়ালমারী থানার এসআই মো. আব্দুর রহমান মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। এ ছাড়া বেলজানী গ্রামে যাতে মারামারি না হয় সে জন্য পুলিশ রয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছিল। বর্তমানেও পুলিশ বেলজানী গ্রামে আছে। মারার ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।