ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

বোয়ালমারীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ক্লিনিকের মালিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, তিনটি ক্লিনিক বন্ধের নোটিশ

বোয়ালমারীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ক্লিনিকের মালিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, তিনটি ক্লিনিক বন্ধের নোটিশ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভায় অবস্থিত স্টেশন রোডে স্বর্না সাজিক্যাল ক্লিনিক, হাসপাতাল রোডে আল আমিন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও দি ইষ্টার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামের তিনটি ক্লিনিকে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে বন্ধের নোটিশ করেছেন ফরিদপুর সিভিল সার্জন মো. সিদ্দীকুর রহমান। বুধবার (১৮ জুলাই) ক্লিনিক তিনটি লিখিত ভাবে বন্ধের নোটিশ দেয়। এদিকে দি ইষ্টার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রোডে দুপুর আড়াইটার দিকে মানববন্ধন ও প্রতিবা সভা করেছেন। মানববন্ধনে চিকিৎসকরা বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুর সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বোয়ালমারীতে এই তিনটি ক্লিনিক পরিদর্শনে আসেন। তিনটি ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকাসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম পাওয়ায় তিনটি ক্লিনিককেই মৌখিক বন্ধের ঘোষনা দেন। এই ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় দি ইষ্টার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক সাখাওয়াত হোসেন, ঝিল্লু, জাকির হোসেন তাদের কর্মচারীদের নিয়ে হাসপাতাল রোডে মিছিল বের করে। মিছিলে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. ফরিদ হোসেন মিয়া, ফরিদপুর সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এমএম নাহিদ আল রাকিবের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ন ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, চলমান অনিয়ম এবং ক্রটি বিচ্যুতি সংশোধনে নিমিত্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থাগিত করা হইল। দি ইষ্টার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের (ঢাকা) পরিচালক ডা: ফরিদ হোসেন মিয়া বোয়ালমারীতে দুটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাথে জড়িত আছে। আমাদের ক্লিনিক বন্ধ হলে তার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ভালো চলবে তাই, ফরিদ হোসেন মিয়া সিভিল সার্জন ও টিএইচএ রে দিয়ে আমাদের ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকে পরিদর্শনের সময় ক্লিনিকের মালিকদের উপর চড়াও হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ্ পিকুল বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী কয়েকটি ক্লিনিকে পরিদর্শনে আসেন সিভিল সার্জন। তার মধ্যে তিনটি ক্লিনিকে অনিয়ম ও ক্রটি দেখে মৌখিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। কিন্তু কয়েকজন ক্লিনিক মালিকরা বোয়ালমারী সতজন ও সততার সাথে দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: ফরিদ হোসেন মিয়া, ফরিদপুর সিভিল সার্জন ও বোয়ালমারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিছিল করে যে অশ্লিন ভাষায় বক্তব্য রেখেছে তা অত্যান্ত দু:খ জনক ও নিন্দনীয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড: এমএম নাহিদ আল রাকিব বলেন, ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, অপরিস্কার, ডাক্তার নেই, সিজারিয়ান কক্ষে ধুলাসহ নানা অনিয়ম ও ক্রটি বিচ্যুতি। তাই সিভিল সার্জন স্যার ক্লিনিক বন্ধের তাৎক্ষনিক নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দি ইষ্টার্ন ডাযাগনষ্টিক সেন্টারের মালিক কর্মচারীদের নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বস্থ্য), ফরিদপুর সিভিল সার্জন এবং আমার বিরুদ্ধে মিছিল বের হরে কুরুচিপূর্ন শ্রোগান দেন। তার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। বুধাবর (১৮ জুলাই) ওই তিনটি ক্লিনিক বন্ধের লিখিত নোটিশ করা হয়।