ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ডাব বিক্রিতে চলে দশমিনায় মানিকের সংসার

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: গরম কিংবা শীত সব ঋতুতেই ডাবের পানির সমান কদর রয়েছে। তবে গত কয়েক দিনের গরমে পটুয়াখালীর দশমিনায় ডাবের কদর অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়ে চলছে। তাইতো পথেঘাটে পিপাসা নিবারণের জন্য সচেতন মানুষ বেছে নেন ডাবের পানি। পথচারীদের মতে, উপজেলায় যত পানীয় পাওয়া যায় তার মধ্যে ডাবের পানিই সবচেয়ে নিরাপদ।

তাই অনেক ক্ষেত্রে কোমল পানীয়র বদলেও তারা বেছে নেন ডাবের পানি। গ্রাম ঘুরে ঘুরে ডাব কেনা, গাছ থেকে পাড়ানো ও গাড়িতে ওঠানো উপজেলায় পাইকারি বিক্রি ও খুচরা বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে বহু মানুষ জড়িত। উপজেলায় অনেকেই এখন বেছে নিচ্ছেন ডাব বিক্রির পেশা। ডাবের ওপর নির্ভর করে সংসার চলছে অনেকেরই। জনগুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন সড়কে কিছুদূর পরপরই চোখে পড়ে ভ্যানে কওে ও দোকানীদের দোকানের সামনে ডাব বিক্রির দৃশ্য। উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করছিলেন মোঃ মানিক।

তিনি ৪বছর ধরে ডাবের ব্যবসা করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে তিনি ডাব হাতে নিয়েই বুঝতে পারেন কোনটায় কতটুকু পানি আছে, কোনটায় সর বা শাঁস হয়েছে, কোনটার শাঁস শক্ত হয়েছে, কোনটায় পানি কম। ডাব বিক্রেতা মানিক জানান, ৪ বছর আগে এক শ’ ডাব কিনতেন ১৮০০ টাকায় আর এখন একটু বড় সাইজের এক শ’ ডাব কিনতে অন্তত তিন হাজার টাকা লাগে।

ডাব বিক্রিতে তার খুব সুনাম রয়েছে। অনেকেই তার কাছ থেকে ডাব কিনে খান। মানিক এর বাড়ি উপজেলার সদও ইউনিয়নের দশমিনা গ্রামে। মানিক জানান, ডাবের ব্যবসা করেই সংসারের খরচ এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চলছে। যা আয় করেন খরচ হয়ে যায়। অতিরিক্ত কিছু জমাতে পারেননি। তার কাছে সবচেয়ে বড় একটি ডাবের দাম ৫৫ টাকা। তাতে সাড়ে তিন থেকে চার গ্লাস পানি হয়।