দশমিনায় জোঁয়ারে ডুবে ভাঁটায় জাগে চরের প্রাথমিক বিদ্যালয়
মোঃবেল্লাল হোসেন,দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবোরহান ইউনিয়নের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেড়ীবাঁধ না থাকায় জোঁয়ারে ডুবে ভাঁটায় জাগে।
জানা যায়, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চারদিকে নদী বেষ্টিত। সামান্য জোয়ারের পানি উঠলেই ২-৩ ফুট পানি ওঠে। ভেড়িবাঁধ না থাকায় ১৩৩নং চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরশাহজালাল আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ বছর ধরে বর্ষার মৌসুমে জোঁয়ারে সময় জোঁয়ারের পানিতে দুই-তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। আবার ভাঁটার সময় পানি নেমে যায়। বিশেষ করে অমাবশ্যা এবং পুর্নিমার জোঁয়ারের পানির চাপ বেশি থাকে, তখন বিদ্যালয় দুটি ও ইউনিয়ন কমপ্লেক্স এর শিরি পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এবং এলাকার ইউনিয়নে পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতাগনকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দুই থেকে তিন ফুট পানির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যওয়া করতে প্রায়ই সময় পোশাক ভিজে যায়, এবং ভেজা কাপড়েই তাদের ক্লাস করতে হয়। ক্লাস রুমের মধ্যে পানি জমে থাকার কারনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেঞ্চের ওপরে পা রেখে লেখাপড়া করতে হয়।
চরশাহজালাল আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসেম বলেন, সকালে বিদ্যালয়ে এসে তিনি দেখতে পান তেঁতুলিয়া নদীর জোঁয়ারের পানিতে বিদ্যালয়টি ২-৩ ফুট পানি উঠেছে। শ্রেনিকক্ষে পানি ঢুকে চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাসছে।
১৩৩ নং চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, জোঁয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় বিদ্যালয়ে আসা শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পরতে হয়েছে তাদের। ক্লাসরুমে পানির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। এই ইউনিয়নে ভেরি বাঁধ না থাকায় বছরে প্রায় সময় প্রাকৃতিক বন্যা সহ স্বাভীক পানি উঠলেবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নান সমস্যায় পরতে হয়। ভেড়ী বাঁধ হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।
চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজির আহম্মেদ সরদার এ ব্যাপারে বলেন, চরবোরহান ইউনিয়নে ভেড়ীবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তেঁতুলিয়া নদীর জোঁয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় চরাঞ্চল। পুর্নিমার জোঁয়ারের কারনে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরঙ্গ নদীর পানি বাড়ছে, সে কারনে বিদ্যালয়সহ চরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা তিন থেকে চার ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে থাকে তাহাতে আমাদের কোমল মতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যহত হয়। অপূরনীয় ক্ষতির মধ্যে পরে কৃষক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিটলারুজ্জামান বলেন, এ ভাবে শিক্ষার্থীদের অনেক ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। জোয়ার-ভাটার কারনে পানিতে শ্রেণীকক্ষ প্লাবিত হয়। এলাকায় ভেড়ী বাঁধ জরুরী। বেড়ীবাঁধ হলে সমস্যা সমাধা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা এমপি বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনের কাজ চলোমান। আর চরবোরহান ইউনিয়নের ভেড়ী বাঁধের কাজ শিঘ্রই শুরু হবে।