ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোহনপুরের কাঁমারপাড়া বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ততপর সওজ

মোহনপুরের কাঁমারপাড়া বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ততপর সওজ
রাজশাহী ব্যুরো: মোহনপুর উপজেলাধীন কাঁমারপাড়া বাজারে নির্মিত ড্রেন ও ফুটপাতের উপর অবৈধ সিঁড়ি নির্মাণ করে জনসাধারনের চলাচলে বাধাগ্রস্ত করায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপদ রাজশাহী এবং মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন।
১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) মিথিলা দাস ও সওজ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মোঃ আসিফ। অভিযানের সময় কাঁমারপাড়া বাজারের রাস্তা সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা গুলো পরিদর্শন করেন এবং অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে স্থপানা মালিকরা অনুরোধ করলে তাদেরকে ৭২ ঘন্টার সময় দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। আমরা তাদের এ ব্যাপারে লিখিত নোটিশ করবো, তারা যদি এ স্থাপনা নিজ থেকে না সরিয়ে নেন, তাহলে আমরা সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখানে সিএনবি’র জায়গায় তারা অবৈধ ভাবে সিড়ি নির্মান করেছে। আমাদের আগে যেহেতু সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে এ স্থাপনা নিজ দ্বায়িত্বে সরিয়ে নিতে তিন দিন সময় নিয়েছে মার্কেটের মালিকরা। তাই তারা যদি সেই সময়ের মধ্যে এই স্থাপনা উচ্ছেদ না করে,  তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কিছু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে অনেকের পরিবার। এমন ঘটনায় বিচলিত পুরো সচেতন সমাজ। এসকল দুর্ঘটনার কারন হিসেবে কয়েকটি বিষয় সামনে আসে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা।
গত ১৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় মোহনপুর উপজেলার কাঁমারপাড়া বাজারে  সাংবাদিকের ক্যামেরায় তুলে ধরা হয়েছে ড্রেন ও ফুটপাতের উপর গড়ে উঠা ভবন ও তার সিঁড়ির দৃশ্য। কিন্তু এই তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে অপমান ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে সাংবাদিক আনছার তালুকদার স্বাধিন ও তার সহকর্মীদের। সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধেঁয়ে আসেন সিঁড়ি নির্মাণকারী আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে-আব্দুল আলিম।
তাদের দাবী, এ বিষয়ে প্রশ্ন করার আগে খতিয়ান নিয়ে আসতে হবে। ঐ সাংবাদিকদের অপমান ও হেউপ্রতিপন্ন করে বলেন, তাদের হাতে বড় বড় সাংবাদিক রয়েছে। এমন বক্তব্যের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে এবং ১৭ আগষ্ট অভিযান চালায়।