দশমিনায় জমিজমা দখলকে কেন্দ্র করে ভাই ও ভাবিকে মারধর ও হত্যা করার চেষ্টা ।
মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী) নিউজ
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট গ্রামে রবিবার সকাল ৮ টায় জমিজমা চাষাবাদকে কেন্দ্র করে ভাইর সাথে ভাবিকে মারধার ও গলায় ওরলা পেচিয়ে ঝুলিয়ে হত্যার চেস্টার ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায় উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বসিন্দা মরহুম ইউনূস আকনের ছেলে মাওলানা রাজ্জাক, শাহাবুদ্দিন কন্যা আমেনা, হনুফা ও খাদিজা বেগম। শাহাবুদ্দিন বিবাহ করার পর থেকে ভই -বোন ও মা স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। শাহাবুদ্দিন তাদের কথা না শোনায় ভাই-বোন ও মা বিলে বাবার সস্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রায় সময় কারনে অকারনে শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী উপর চলে নির্যাতন। শনিবার সকাল ৮ টায় শাহাবুদ্দিনের সাজানো জমিতে রাজ্জাক মাওলানা ও তার ছেলে বীজ রোপ করতে গেলে শাহাবুদ্দিন বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে এবং স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তাকেও মার ধর করে।
আহত শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি জমি সজিয়েছি বীজ রোপন করবো।আমার বড় ভাই রাজ্জাক মাওলানা ও তার ছেলে সকালে ওই জমিতে বীজ রোপন করে আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে।আমার তিন বোন, মা ও আমার বড় ভাবি আমার ঘরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে মারধর করে অঞ্জান করে এবং গলায় ওরনা পেচিয়ে টানতে থাকে।
আহত কুলসুম বলেন, বিবাহের পর থেকে শ্বাশুড়ি, ননদ, জা সকলে মিলে আমার সংসার ভাংগার চেস্টা করে।আমার স্বামী তালাক না দিলে আমাদের সেপারেট করে দেয়। শনিবার সকালে আমার স্বামীর জমিতে রাজ্জাক মাওলানা ও তার ছেলে বীজ রোপন করতে গেলে আমার স্বামী বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে। আমার ননদ ও জা আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে অঞ্জান করে ফেলে।মেয়ে সহারা মনি বলেন আমি মাদ্রসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম পুকুরে গোসল করতে গেলে ঘরের মধ্যে ডাকচিৎকারের শব্দ পেয়ে ঘরে এসে দেখি আমার মায়ের গলায় ওরনা পেচিয়ে তিন ফুফু ও চাচি মাকে টানছে।
প্রতিবেশি শাহজালাল, ফাতেমা ও জাহানারা বলেন, বাবার সম্পত্তি সবছেলে-মেয়ে পাবে। জমি জমা নিয়ে মারধর হয় বাড়ির ভিতরে ডাকচিৎকার শুনে গেয়ে দেখি আমেনা, হনুফা, খাদিজা কুলসুমের গলায় ওরনা পেচিয়ে টানছে। আমাদের দেখে চলে যায়। পরে তারা খাটে করে ভ্যানযোগে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে দশমিনা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সদিয়া খায়েরের চিকিৎসাধীন আছে।থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন এ বিষয়ে আমার জানানেই অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Print [1]