বাঘায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে গৃহবধূর মৃত্যু
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই গৃহ বধুর নাম শেফালী আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার সিকদারপাড়া গ্রামের আকসেদ আলীর ছেলে শিমুলের স্ত্রী।
শেফালী নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানাধীন জামনগর এলাকার মিনারুল ইসলামের ছোট মেয়ে। শিমুল-শেফালী দম্পত্তির সংসার জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। আমের ব্যাবসায় লোকশান হওয়ায় শিমুল অর্থ সংকটে পড়ে। এনজিওর ঋন আর সংসারের অনটনের কারনে বর্তমানে সে কাজের সুবাদে এলাকার বাহিরে থাকে। আর মাঝে মাঝে সাধ্য মতো টাকা পাঠান বাড়িতে। গত কাল বুধবার রাত ৯টার দিকে (এনজিও আশা’র) কিস্তি আদায়কারী এসেছিল। কিস্তির টাকা না থাকায় লজ্জিত হন শেফালী। অনেক দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। অবশেষে তার শশুর আকসেদ আলী ১ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেন এনজিও প্রতিনিধিদের।
শিমুলের নিকট প্রতিবেশীরা জানান, তাদের পরিবারে কারো সাথে কোন দন্দ বা রাগারাগি নেই। সংসারের অনটনের কারনে কাজের সুবাদে শিমুল এলাকার বাইরে থাকায় দুটি সন্তান নিয়ে শেফালী বাড়িতে থাকে। শশুর শাশুড়ি ও আলাদা।
এ বিষয়ে শিমুলের মা জানান, সকাল ৯ টার দিকে শেফালীকে বমি করতে দেখে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে ? তখন শেফালী আমাকে জানায় সে ঘরে থাকা ইদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে। আস্তে আস্তে শেফালীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে। প্রতিবেশী ও নিকট স্বজনদের ডেকে শেফালী কে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরন করেন। রামেক হাসপাতালে যাওয়ার পথে বানেশ্বর মোড়ে পৌছালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।পরে তাকে বাড়িতে আনা হয়।
এ বিষয়ে শেফালীর পিতা মিনারুল ইসলাম বলেন, আমাকে আগে কখনও বলেনি তার সংসারে কোন অশান্তি বা রাগারাগি আছে। আমার মেয়ের ভাগ্যে হয়ত মৃত্যু এভাবেই লিখা ছিলো। শেফালীর মৃত দেহ দাফনে আমার কোন প্রকার দাবী বা আপত্তি নেই।
মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই সুরতহাল রিপোর্টে গ্যাস ট্যাবলেটের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক কালাম।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, মৃত শেফালীর পিতা মাতার পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ বা দাবী না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Print [1]