ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

মেয়ের হত্যাকারিকে ধরলেন বাবা

মেয়ের হত্যাকারিকে ধরলেন বাবা
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি দশমিনায় রবিবার রার ১০ ঘটিকায় নলখোলা বন্দরে মেয়ের হত্যাকারিকে আটক করলেন মেয়ের বাবা ও আতœীয়রা।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতাগিসানকিপুর গ্রামের মোঃ নুরু হাওলাদারের এরকমাত্র কন্যা মোসাঃ রাহিমা(২০) কে পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের শাহজাহান জোমাদ্দারের ছেলে মোঃ সুজন জোমাদ্দারের(২৪) সাথে ২০২১ সালে বিবাহ হয়। বিবাহের পর সুজন রাহিমাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে এবং গত ২৭ জুন/২০২২ গলাটিপে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়। ময়না তদন্তের পরে রাহিমাকে দাফন করা হয়। রাহিমার বাবা মোঃ নুরু হাওলাদার বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন ২০০০(সংশোধনী০২০২৩) এর ১১(ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৫। মামলা থেকে সুজন পলাতক। রবিবার রাতে রাহিমার বাবা ও আতœীয় স্বজন মিলে দশমিনা উপজেলার নলখোলা বাসস্ট্র্যান থেকে আটক করে দশমিনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
রাহিমার বাবা নুরু হাওলাদার জানান, আমার মেয়ের সাথে ২০২১ সালে বিবাহের পর সুজন ও তার বাবা-মা যৌতুকের জন্য শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। গত ২৭ জুন/২০২২ রাতে  আমার মেয়েকে সুজনের বসত ঘরে গলাটিপে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। আমি গলাচিপা থানায় গেলে প্রাথমিকভাবে মামলা না নিলে আমি পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয় গেলে তিনি গলাচিপা থানায় পাঠান এবং আমার দায়ের কৃত মামলা গলাচিপা থানা গ্রহন করেন। সেই থেকে সুজন পলাতক । আমার মেয়ের হত্যাকারিকে অনেকদিন খুজেছিলাম আজ ধরে দশমিনা থানায় সোপর্দ করেছি। ওর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
দশমিনা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই)আবিদ গোলদার বলেন, দশমিনা নলখোলা বন্দরে মার্ডার মামলার আসামী আটকের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে থানায় নিয়ে আসি। পরে গলাচিপা থানায় যোগাযোগ করলে তারা জানান সুজন জোমাদ্দার স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী। ওই রাতেই ১১ টায় গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ও ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দশমিনা থানা থেকে সুজন জোমাদ্দারকে নিয়ে যায়।