ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে চলে যান ১৪ জন ডাক্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে চলে যান ১৪ জন ডাক্তার

মোঃ আশিকুর রহমান রনি 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বৃহৎ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিদিন হাজারো রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চিকিৎসকদের রোগী দেখার অনিয়মকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন রোগীরা। আজ ৭ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে খোজ নিয়ে দেখা যায় যেখানে ডেংগু প্রকোপে সরকারি সব ছুটি বাতিল সেখানে অফিস সময়ে পুরো হাসপাতাল খালি করে প্রায় ১৪ জন ডাক্তার কোম্পানীর টাকায় তিন দিনের জন্য চলে যান বান্দরবন ঘুরতে। এমনকি আজ তত্বাবধায়ক ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান ও ছুটিতে।বিষয়টি শহর জুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে।আরো জানা যায় গাইনি বিভাগে আজ একজন মাত্র ডাক্তার ছিল বাকি সবাই চেম্বার ফাকি দিয়ে ঘুরতে চলে যান।চেম্বার ফাকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া ডাক্তার রা হলেন-গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা.মারিয়া পারভীন, ডাক্তার আইরিন হক,ডা.মাহফিদা আক্তার হ্যাপি,ডা.শরিফ মাসুমা ইসমত,ডা.ফাইজুর রহমান ফয়েজ,ডা.খোকন চন্দ্র দেবনাথ,ডা.আবু মুসা,ডা.নিজাম উদ্দিন সহ আরো অনেকে। নাম উল্লেখ এই কয়েকজন ডাক্তারের সিন্ডিকেটে পুরা হাসপাতাল ফাকা করে চলে যান অনেকে। আজ এমনটাই নজড়ে পড়ে হাসপাতালের ডাক্তারের রুমের সামনে।
বর্তমান সরকার চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা নির্ধারিত সময়ের ডিউটি না করে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ অসহায় রোগীরা।
নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মতো হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছেন এই কয়েকজন ডাক্তার।
আরো জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা মারিয়া পারভিন নিয়মিত হাসপাতালে আসা যাওয়া করেন না এবং রোগীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন, তিনি তার স্বামী ডা. শুভ্রর রাজনৈতিক প্রভাব দেখায় যার প্রতিফলনে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগী অনেকে।
অফিস টাইম ফাকি দিয়ে পুরো হাসপাতাল খালি করে ডাক্তার দের ঘুরতে যাওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডাক্তার মো: সুমন ভুইয়া বলেন ছুটির দরখাস্ত দিয়ে তারা গেছেন তবে মনজুর হয়েছে কিনা এটা জানি