দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিপটুয়াখালী দশমিনা থানার এএসআই ও এক শালিসির ভুল ব্যাখ্যায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলী সম্পত্তি থেকে বেদখল হবার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার নিজাবাদ গোপালদীর মৃত. লাল মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোঃ আবুল কালাম গংদের সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ। এই বিরোধের কারনে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে মামলা করি এবং উক্ত মামলায় দেং মোং নং ১৭১/২০০৭ এবং ১০০/২০২৩ইং মোকদ্দমায় নিজ অনুকুলে রায় পাই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আবুল কালাম গং হাই কোর্টে একটি সিভিল রিভিসন মোকদ্দমা আনায়ন করে। উক্ত মোকদ্দমায় মহামান্য হাই কোর্ট স্থিতিতি বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু মোঃ আবুল কালাম দশমিনা থানায় আমার বিরুদ্ধে আকটি অভিযোগ করে বলেন উচ্চ আদালত থেকে স্থায়ী নিষেধাঞ্জা আনার পর জাকির তা মানছেনা। এ বিষয়ে দশমিনা থানার এএসআই মোঃ কামরুল উভয় পক্ষকে ডেকে থানায় বসলে সেখানে স্থানীয় উভয় পক্ষের মানিত শালিস গন উপস্থিত ছিলেন এবং কাগজপত্রাদী বিশ্লেষন না করে এএসআই কামরুল ও শালিসি মোঃ হারুন উচ্চ আদালতের আদেশকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমার ২০ বছরের ভোগদখলি সম্পত্তি থেকে সরিয়ে মোঃ কালাম গংদের দখল বুজিয়ে দেয় এবং মতলেব, আলতাফ, মুজিবুর রহমানেকে চাপসৃস্টি করে একটি সাদা কাগজে এএসআই কামুরল স্বাক্ষর নেয়। এই ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষ আইনি মতামত আনলে তা বিশ্লেষনে দেখা যায় আবুল কামাল হোসেনের হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন মামলায় উচ্চ আদালত স্থিতিবস্থায় থাকার আদেশ দেন। তিনি আরো বলেন দশমিনা থানায় এর আগে আমার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ দেয়া হয়েছে থানার দারোগারা কাগজ দেখে আদালতের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেয় কিন্তু এএসআই কামরুল অভিযোগ পেয়েই কোন কিছু না বুজে শালিসি হারুন এর যোগসাজসে ঐ পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে একতরফা সিদ্ধান্তে আমাকে আমার জমি থেকে দখলচুৎ করা হয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি।
শালিসি মোঃ মতলেব, আলতাফ, এবং মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদেরকে থানায় ডাকা হয়েছে কিন্তুর আমাদের কোন কথা দারোগা সাহেব শুনেননি। ঘটনার বিষয়ে এএসআই কামরুল বললে আমারা উচ্চ আদালতের কাগজ দেখতে সময় চাইলে বলেন মোঃ আবুল কালাম গং উচ্চ আদালত থেকে ইনজেকশন আনছে আপনারা এই কাগজে স্বাক্ষর করেন। আমরা স্বাক্ষর করতে না চাইলে এএসআই কামরুল বাজে কথা বলেন।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কামরুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগকারির কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। আইনি মতামতে যদি অভিযোগ কারির সত্যতা না থাকে তবে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়াছেন তা বাস্তবায়ন হবে।